
আজকাল লম্বা বিনুনি বাঁধা মেয়েদের দেখা খুব একটা পাওয়া যায় না। শাড়ি, বিনুনি আর টিপের প্রেমে প্রায় বছর ৫০ আগে প্রেমে পড়ত ছেলেরা। আর এখন সিল্ক অ্যান্ড শাইন চুলেই লুকিয়ে থাকে প্রেমের হাতছানি। চুলের যত্ন নিতে সময় বেশি লাগে, খরচাও তুলনায় বেশি। যে কারণে অধিকাংশ চুল ছেঁটে ছোট করে রাখেন। আর চুলে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে, অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে চুল সাত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে কিন্তু চুল ঝরেও পড়ে। এছাড়াও অতিরিক্ত কেমিক্যালে চুল তার প্রাকৃতিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। আর এসব কারণেই কিন্তু লম্বা বিনুনীর স্বপ্ন থাকে অধরা।
চুল ধরে যাওয়া, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া এবং চুলের জেল্লা হারিয়ে যাওয়া এমন সমস্যা খুবই সাধারণ। আর এখন বয়সের আগেই চুলে পাক ধরে। তাই এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে একটা নিয়মের মধ্যে নিজেকে বেঁধে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে নিজেই একটা রুটিন বানিয়ে নিন। এই রুটিন মেনে চললে চুলের অর্ধেক সমস্যাই কিন্তু দূর হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু পরিবর্তনও আপনার চোখে পড়তে বাধ্য।
এর মধ্যে প্রথম কাজ হল চুলে তেল মালিশ করা। চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল তেল। তেল দিলে তবেই চুল তাজা থাকে। সবথেকে ভাল যদি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তেল গরম করে ম্যাসাজ করতে পারেন। এছাড়াও সকালে দিলে স্নান করার অন্তত ৩০ মিনিট আগে চুলে তেল লাগান। এতে চুলের আর্দ্র ভাব বজায় থাকবে আর চুল তার পর্যাপ্ত পুষ্টিও পাবে। চুলে ভাল করে তেল মালিশ করে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করা কিন্তু খুব জরুরি। নইলে অতিরিক্ত ময়লা চুলে বসে যায়। রোজ ব্যবহার করলে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
চুলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার বা সিরাম অবশ্যই লাগান। যদি বাজার চলতি এসব প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে না চান তাহলে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এতেও কিন্তু একই রকম কাজ হবে। চুল সামান্য ভিজে থাকতেই হাইড্রেটিং হেয়ার ক্রিম লাগিয়ে নিতে পারেন। এতেও কিন্তু চুল নরম থাকে আর শাইনিং ভাব বজায় থাকে। স্ক্যাল্পে খুব ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় সেই সঙ্গে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও চুলে নিয়মিত ভাবে ডিম, টকদই এসব লাগান। এতেও কিন্তু চুল খুব তাড়াতাড়ি লম্বা হয়।