
বয়স যত বাড়বে তার প্রভাব পড়বে আপনার ত্বকের উপর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের হবে জোরাল হবে বার্ধক্যের লক্ষণ। বলিরেখা, দাগছোপ, ঝুলে যাওয়া চামড়াই ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ। কিন্তু এই লক্ষণগুলো যদি ৩০-এই প্রকাশ পায়, তাহলে সাবধান হওয়া দরকার। অকাল বার্ধক্য কখনওই ভাল বিষয় হতে পারে না। এমনকী আপনি যদি ৪০-এর দোরগোড়ায় থাকেন, তাহলেও খেয়াল রাখা দরকার ত্বকের।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে গেলে সাধারণ স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং—এই ৩ ধাপ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। বলিরেখা প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অনেকেই নাইটক্রিমের উপর ভরসা রাখেন। অ্যান্টি-এজিং নাইটক্রিম ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে দারুণ কার্যকর। একইভাবে, কার্যকর অ্যান্টি-এজিং ফেস সিরাম।
একটা বয়সের পর ত্বকের খেয়াল রাখতে অ্যান্টি-এজিং সিরাম ব্যবহার করাও দরকার। তবে, বাজারচলতি সিরামের বদলে বাড়িতেই আপনি অ্যান্টি-এজিং ফেস সিরাম বানিয়ে নিতে পারেন। কী-কী প্রয়োজন এবং কীভাবে বানাবেন, রইল টিপস।
বাড়িতে যেভাবে অ্যান্টি-এজিং ফেস সিরাম বানাবেন-
অ্যান্টি-এজিং সিরাম বানানোর জন্য প্রয়োজন ১ টেবিল চামচ রোজহিপ অয়েল, ১ টেবিল চামচ অর্গান অয়েল, ১ টেবিল চামচ জোজোবা অয়েল, ৫ ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল, ৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল, ৩ ফোঁটা জেরেনিয়াম অয়েল। সমস্ত উপকরণে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ঢেলে রাখুন এয়ার টাইট শিশিতে। খেয়াল রাখবেন এই শিশি যেন গাঢ় রঙের হয়। পাশাপাশি শিশিতে ভুলেও যেন জল না থাকে।
বাড়ির তৈরি অ্যান্টি-এজিং ফেস সিরাম যেভাবে ব্যবহার করবেন-
প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন। হালকা ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে নিন। মুখে টোনার স্প্রে করে নিন। এবার বাড়িতে বানানো অ্যান্টি-এজিং ফেস সিরামের নিন ২-৩ ফোঁটা। মুখের পাশাপাশি গলায় ও ঘাড়ে ভাল করে মালিশ করুন। ত্বক তেল সম্পূর্ণরূপে শুষে নেওয়া পর্যন্ত মালিশ করুন। শেষে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এই ফেস সিরাম আপনি দিনে দু’বার ব্যবহার করতে পারেন। সকালে ব্যবহার করলে ফেস সিরাম মেখে সানস্ক্রিন মেখে নিন। আর রাতে ফেস সিরাম ব্যবহার করার পর নাইট ক্রিম মেখে নিন। দেখবেন বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা, দাগছোপ আপনার ধারে কাছে ঘেঁষবে না।