গরমকাল এলেই শুরু হয় চুলের নানান সমস্যা (Hair Problem)। গরমে ঘামে ভিজে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চুল। আর খুশকির (Dandruff) সমস্য়া সে তো অনাহুত অতিথি। যাঁরা এই সমস্যায় ভোগেন তাঁরাই একমাত্র বুঝবেন এর জ্বালা ঠিক কতটা। রাস্তাঘাটে যেখানে-সেখানে মাথায় হাত দিলেই ঝরে পরে খুশকি। এ যে কী-ই অপ্রস্তুতিতে ফেলে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সমস্য়ার ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। জানুন কী করবেন…
নিমকে এক কথায় বলা হয় ত্বক ও চুলের বন্ধু। নিম জলে স্নান করার বহু উপকারিতা রয়েছে। গায়ে চুলকানি বা ব়্যাশের জ্বালা থেকে মাথায় খুশকি থেকে রেহাই দেয় এই পাতা। নিম ভেজোনো জলের গুণে খুব তাড়াতাড়ি দূর হয় খুশকির সমস্যা। এচাড়াও বানিয়ে নিতে পারেন হেয়ার প্য়াক।
কীভাবে ব্য়বহার করবেন?
নিমজল বানাতে লাগে,১ লিটার জল ও ৪০-৫০ টি নিমপাতা। এরপর তা ফুটিয়ে নিয়ে জল ঠাণ্ডা হতে দিতে হবে। এই নিমপাতার জল সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে পারেন।
হেয়ার প্যাক- ১ লিটার জলে নিমপাতা ফুটিয়ে তুলে নিন। এলার তাতে এক চা-চামচ মধু দিয়ে দিন। সেইভাবে সারা রাত ফেলে রাখুন। পরের দিন সকালে উঠেই মধু আর নিমপাতা বেটে নিয়ে তার পেস্ট মাথায় লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন।
এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন তেল। তবে মাথায় শুধু নারকেল তেল মাখলেই হবে না। প্রথমে নারকেল তেল গরম করে নিতে হবে। তারপর সেই গরম করা নারকেল তেলে মিশিয়ে নিন সামান্য লেবুর রস। এবার সেটি মাথায় মেখে, ১০-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন । এছাড়াও খুশকি তাড়ানোর আরও একটি ভাল উপায় হল লেবু। স্নানের আগে টকদইয়ের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে মাথায় মাখুন। উপকার পাবেন। অ্য়ালোভেরাও খুশকির বিরুদ্ধে ভাল কাজ করে। এক চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ক্যাসটার অয়েল। স্নানের আগে মাথায় এই মিশ্রণ লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। খুব তাড়াতাড়ি যদি সহজে খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান,তবেনারকেল তেলে ফেলে দিন একটু কর্পুর। এই তেল মাথায় মেখে কিছুক্ষণ বাদে ধুয়ে ফেললেই মিলবে ফল।