
তাতাপোড়া থেকে দু’দিনের আরাম। কিন্তু সকালের রোদের তেজ একটুও কমেনি। গরমের সঙ্গে রয়েছে ঘাম। আর ঘামই ত্বকের শক্র। ঘামের জেরে ত্বকের উপর র্যাশ, ফুসকুড়ি, চুলকানি, ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়। গরমে শরীর ও ত্বককে তরতাজা রাখতে দিনে দু’বার স্নানও করছেন। কিন্তু তাতেও এড়ানো যাচ্ছে না বগলের ঘাম ও দুর্গন্ধ। স্লিভলেস পরুন কিংবা ফুলহাতা জামা, বগলের অস্বস্তি এড়ানো যায় না কোনওভাবেই। বরং বগলের অংশ ঘামে ভিজে থাকে। তা দেখতেও বিশ্রী লাগে এবং দুর্গন্ধ ছাড়তে থাকে। এই বগলের অস্বস্তি আর দুর্গন্ধ এড়াতে অনেকেই রোল অন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন। কিন্তু এতেও খুব উপকার পাওয়া যায় না। তার চেয়ে আপনি সাহায্য নিতে পারেন ঘরোয়া প্রতিকারের।
স্নানের জলে যা কিছু মেশাবেন-
ঘাম থেকে তখন দুর্গন্ধ হয়, যখন ব্যাকটেরিয়াগুলো সক্রিয় হয়ে যায়। ঘেমে যাওয়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ঘামের গন্ধ বের হয়। বগলকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখতে স্নানের সময় বিশেষ যত্ন নিন। স্নানের জলে লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই জলে স্নান করলে ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে। এছাড়া আপনি স্নানের জলে টি ট্রি অয়েল কিংবা অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও উপকার পাওয়া যায়।
একটি পাত্রে এক মগ জল নিয়ে তেজপাতা, তুলসিপাতা, নিমপাতা আর লবঙ্গ নিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার এই জল স্নানের জলে মিশিয়ে প্রতিদিন স্নান করুন। এতে ঘামের দুর্গন্ধ সহজেই এড়ানো যাবে। তার পাশাপাশি আপনি ঘামাচি, চুলকানি, র্যাশ ও ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাবেন।
যে ভাবে আন্ডারআর্মসের যত্ন নেবেন-
বগলে তরতাজা অনুভূতি পেতে বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার করুন। বেকিং সোডায় অল্প জল ও লেবুর রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি বগলের উপর ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি আপনি তরতাজা অনুভব করবেন।
স্নানের জলে যদি গোলাপ জল ও টি ট্রি অয়েল না মেশান, তাহলে সরাসরি বগলে লাগাতে পারেন। গোলাপ জলে দু’ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার তুলোর বলের সাহায্য বগলে লাগিয়ে নিন এই মিশ্রণ। এছাড়া আপনি বগলে দু’ফোঁটা নারকেল তেল মালিশ করতে পারেন। এতেও ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।