
চুলের যত্নে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা তেলই যথেষ্ট নয়। মাঝে মাঝে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের টেক্সচার, ভলিউম ও স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হেয়ার মাস্ক খুশকি, পাতলা চুল, চুল পড়ার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চুলের উপর অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে। হেয়ার মাস্ক উড়ো চুল, দু’মুখো চুলের সমস্যা দূরে করে। সপ্তাহে এক দিন করেও যদি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা যায়, তাহলে পার্লারে গিয়ে স্পা করানোর প্রয়োজন পড়বে না।
হেয়ার মাস্ক চুলকে ময়েশ্চারাইজড করে তোলে। হেয়ার মাস্কের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে আপনি চুলের একাধিক সমস্যাকে দূরে রাখতে পারবেন। কিন্তু হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন কি?
হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম-
প্রথমে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করতে ইষদুষ্ণ জল ব্যবহার করুন। চুলে খুব বেশি গরম জল ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হয়। শ্যাম্পু করার পর চুল শুকনো করে মুছে নিন। চুলে থাকা সমস্ত জল ঝরিয়ে নিন। এবার চুলটা ২-৩ ভাগে ভাগ করে নিন। এবার চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে নিন। ভাল করে হেয়ার মাস্ক লাগাবেন, কোনও অংশ যেন বাদ না যায়। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। ব্যস কাজ শেষ। এই উপায়ে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে তবেই উপকার পাবেন।
হেয়ার মাস্ক মাখার আগে ইষদুষ্ণ জল চুল ধুয়ে নেওয়া দরকার। এতে স্ক্যাল্পের কিউটিকলগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। এতে হেয়ার মাস্ক ভাল করে প্রভাব ফেলে। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারের পর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধোয়া উচিত। এতে চুলের কিউটিকলগুলো আবার বন্ধ হয়ে যায়।
চুল ধোয়ার পর স্ক্যাল্পে খুব চাপ দিয়ে মুছবেন না। চুল ভিজে থাকলে গোড়া আলগা থাকে। এতে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। তবে, চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ার মাস্ক বেছে নেওয়া উচিত। এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যেগুলো আপনার হেয়ার মাস্কে থাকা জরুরি। আমন্ড অয়েল, নারকেল তেল, দই, কলা, ডিম—এসব উপাদান থাকলে সেই হেয়ার মাস্ক চুলের জন্য দারুণ উপকারী হয়।