
যুগ যুগ ধরে মরক্কোবাসীরা রূপচর্চায় আর্গন অয়েল ব্যবহার করে আসছেন। আর এখন সারা বিশ্বে আর্গন অয়েলের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য গঠনে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে আর্গন অয়েল। এই তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড। চুল ও নখে আর্গন অয়েল ব্যবহার না করলেও ত্বকের উপর অবশ্যই মাখুন এই তেল। ভিটামিন ই থাকায় আর্গন অয়েলের ত্বকের উপর ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ত্বক যেমনই হোক, আর্গন অয়েলের গুণে আপনি যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারবেন।
বর্ষাতেও গায়ে ট্যান পড়ে। রোদে পোড়া চেহারায় জেল্লা ফিরিয়ে আনতে আর্গন অয়েল দারুণ উপকারী। রোজ নিয়ম করে স্নানের সময় আর্গন অয়েল মাখলে এটি আপনার ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে। এই তেল মেলানিন উৎপাদনে বাধা দেয়। যার জেরে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেঁষে না।
বর্ষায় ত্বকের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। কিন্তু রোজ আর্গন অয়েল ব্যবহার করলে ত্বকের সংক্রমণ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবেন। আর্গন অয়েলে মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের যে কোনও সমস্যা বা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলকানি, র্যাশের সমস্যা কমিয়ে দেয়।
তৈলাক্ত ত্বকে সবচেয়ে বেশি ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকে অনেকেই তেল ব্যবহার করতে চান না। তবে, আপনি নির্দ্বিধায় মুখে আর্গন অয়েল মাখতে পারেন। ত্বক সম্পূর্ণরূপে আর্গন অয়েল শুষে নেয়। এটি ত্বকে সিবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি এই তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমায়। এতে ব্রণর ব্যথা, ফোলাভাব কমে যায়।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপর বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা বাড়তে থাকে। চামড়া ঝুলে পড়তে থাকে। এই অবস্থাকে প্রতিরোধ করতে অবশ্যই মুখে আর্গন অয়েল মাখুন। নিয়মিত আর্গন অয়েল মাখলে এটি ত্বকের ইলাস্টিক উন্নত করতে সাহায্য করে। মুখে রোজ আর্গন অয়েল মালিশ করলে এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
ত্বকের উপর যেভাবে আর্গন অয়েল ব্যবহার করবেন-
১) সকাল হোক বা রাত, ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে দু’ফোঁটা আর্গন অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা মুখে মালিশ করতে পারেন।
২) টোনার সঙ্গে আর্গন অয়েল মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। তেল সম্পূর্ণরূপে ত্বকে মিলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করুন।
৩) ঠোঁটে লাগান আর্গন অয়েল। আর্গন অয়েলের সঙ্গে চিনি মিশিয়েও ঠোঁটে লাগাতে পারেন। মিনিট দুয়েক স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। এটি ফাটা ঠোঁটের সমস্যা নিমেষে দূর করে দেবে।