
চুল নিয়ে অভিযোগের আর শেষ নেই। যতই তেল, শ্যাম্পু করা হোক না কেন তবুও চুল ঝরছেই। চুলে হাজারো ট্রিটমেন্ট করিয়েও কোনও রকম লাভ হচ্ছে না। ত্বক আর চুলের ক্ষেত্রে প্রাক়তিক উপাদানের কোনও তুলনা নেই। আদ্যিকাল থেকেই দুধ, কাঁচা হলুদ, মধু এসব ব্যবহার করা হচ্ছে রূপচর্চার জন্য। রূপকথার গল্পে এমনই সব উল্লেখ রয়েছে। রাজকুমারীরা এসব মেখেই তাদের রোজকার রূপচর্চা করতেন। দুধ এক্ষেত্রে খুবই ভাল কাজ করে। চুল-ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ধরে রাখতেও দুধের জুড়ি মেলা ভার। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোচনা একবার শুরু করলে আর শেষই হবে না। কিন্তু চুলের যত্নে দুধ কী ভাবে ব্যবহার করবেন, তা কি জানেন?
দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্য়ান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যে কারণে তা চুলের অনেক রকম সমস্যা থেকে দূরে রাখে। পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং আর্দ্রতার অভাবে রুক্ষ চুলের সমস্যা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ডগা চেরা চুলের সমস্যাও মাথাচাড়া দেয়। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে দুধ। দুধের তৈরি বিভিন্ন হেয়ার মাস্ক লাগালে এই সমস্যা থেকে মক্তি পাবেন।
রুক্ষ এবং ফ্রিজি চুলের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে দুধ। সেই সঙ্গে চুলের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতেও তা সাহায্য করে। চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করতে দুধের জুড়ি মেলা ভার। এই প্রাকৃতিক উপাদান স্ক্যাল্পের রুক্ষ ভাব কমায়। স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকায় চুল পড়া কমতেও বিশেষ সময় লাগবে না। শুধু তাই নয় নিয়মিত মিল্ক ক্লিনজার ব্যবহার করলে চুল সহজে ভেঙেও যায় না।
কী ভাবে দুধ ব্যবহার করবেন চুলের জন্য –
একটি পাত্রে ২০০-৩০০ মিলি দুধ নিন। এরপর আপনার চুল একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ধীরে ধীরে আঁচড়ে নিন। চুলে যেন কোনও জট না থাকে। তারপর পরিমাণ মতো দুধ ধীরে ধীরে আপনার স্ক্যাল্পে লাগান। চুলেও লাগাতে ভুলবেন না। ৩০ মিনিট পর প্যারাফেন ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।