রূপচর্চার দুনিয়ায় চন্দনকে টেক্কা দেওয়ার মতো উপাদান এখনও তৈরি হয়নি। ত্বকের জেল্লা বাড়ানো থেকে শুরু করে ব্রণ, র্যাশের সমস্যাকে চিরতরে দূর করে চন্দন। তাছাড়া চন্দন মাখলে ত্বক পরিষ্কার ও হাইড্রেটেড থাকে। ঠাকুরঘরে থাকা চন্দন কাঠ বেটে মুখে মাখলেই আপনি উপকার পাবেন। কিন্তু আপনার চন্দনে ভেজাল থাকলে কোনও উপকারই মিলবে না। আজকাল নির্ভেজাল চন্দন কাঠ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গন্ধ দিয়েই চেনা যায় চন্দনকে।
চন্দনের মধ্যে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে, ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, সানবার্ন থেকে মুক্তি দেয় এবং সানট্যান দূর করে। এমনকী ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করে চন্দন। এই কারণে বিভিন্ন প্রসাধনীতে চন্দন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ত্বকের উপর সরাসরি চন্দন ব্যবহার করলে সেরা ফল পাওয়া যায়। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চন্দনকে কীভাবে ব্যবহার করবেন। সেই টিপসই রইল আপনার জন্য।
চন্দনের ফেসপ্যাক
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে চন্দন দারুণ উপকারী। ত্বকে থেকে অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ময়লা পরিষ্কার করতে মুখে সরাসরি চন্দন বাটা লাগান। গোলাপ জল দিয়ে চন্দন বেটে নিতে পারেন। এছাড়া চন্দন গুঁড়োয় গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। ১৫ মিনিট ফেসপ্যাক রাখার পর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে দেখবেন মুখের তেলতেলে ভাব কমে গিয়েছে। এছাড়া ব্রণর সমস্যাও কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি মুখ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।
চন্দন ও শসার ফেসপ্যাক
চন্দন বাটা বা গুঁড়োর সঙ্গে শসার কুঁড়ে মিশিয়ে দিন। এক্ষেত্রে লাল চন্দন ব্যবহার করতে পারলে আরও বেশি উপকার পাবেন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের উপর লাগান এবং শুকনো হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক আপনার নিস্তেজ ত্বকে তাৎক্ষণিক জেল্লা এনে দেবে।
চন্দন ও টমেটোর ফেসপ্যাক
চন্দন গুঁড়ো বা চন্দন বাটার সঙ্গে ১ চামচ শসার রস, ১ চামচ লেবুর রস, ১/২ চামচ মধু এবং ১ চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি মুখে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সান ট্যান দূর করতে টমেটো ও চন্দনের ফেসপ্যাক দারুণ উপযোগী। পাশাপাশি এই ফেসপ্যাক আপনাকে এনে দেবে মসৃণ ত্বক।