কালীপুজোর পরই একটু একটু করে আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করে। কিন্তু এ বছর ‘সিত্রাং’-এর জেরে আবহাওয়া বেশ বদলে গিয়েছে। দুর্গা পুজোর পর থেকেই যদিও বাতাসে আর্দ্রতার অভাব দেখা যাচ্ছে। তার উপর এখন শীতের আমেজ আসছে সেটা ভাল মতো উপলব্ধি করা যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল, বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চামড়ায় টান পড়ছে। ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠেছে। ঠোঁটের চারপাশ শুকিয়ে যাচ্ছে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়েও খুব একটা সুরহা মিলছে না। এই ক্ষেত্রে আপনি সাধারণ ময়েশ্চারাইজারের বদলে নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য সেরা উপাদান নারকেলের দুধ। নারকেলের দুধের মধ্যে ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড, ও প্রোটিনের মতো একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা ত্বককে নানাভাবে উপকৃত করে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। কোমল ও মসৃণ ত্বক পেতে আপনি নারকেলের দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সরাসরি নারকেলের দুধ ব্যবহার করবেন না। দু’চামচ নারকেলের দুধের সঙ্গে এক চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। মিনিট পনেরো রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি আপনার ত্বকের হারানো আর্দ্রতা দ্রুত ফিরিয়ে আনবে।
শুষ্কতার পাশাপাশি ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। এতে ত্বক নিস্তেজ দেখায়। এক্ষেত্রে নারকেলের দুধের সঙ্গে ওটসের গুঁড়ো মিশিয়ে মাখুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে গরম জল দিয়ে হালকা স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ অপসারণ করে দেয়। এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
ব্রণ কমাতেও দারুণ উপযোগী নারকেলের দুধ। এক চামচ নারকেলের দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। এই মিশ্রণটি ব্রণর পাশাপাশি ত্বকের দাগছোপ, ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যা সব দূর করে দেবে। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলেই আপনি উপকার পাবেন।
সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যাচ্ছে? নারকেলের দুধের সঙ্গে আমন্ডের পেস্ট ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। এতে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা, ডার্ক সার্কেল সব কিছু দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন এই ফেসপ্যাক। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়বে না।