
দৈনন্দিন জীবনযাত্রাই চুলের বারোটা বাজিয়ে দেয়। সঠিকভাবে চুল না আঁচড়ানো, নিয়মিত চুলে তেল না মাখা—এই ছোট ছোট বিষয়গুলোই চুলের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তার উপর দূষণ। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তার হাত থেকে চুলকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অযত্ন, দূষণই মানুষের মধ্যে শুষ্ক চুলের সমস্যা বাড়াচ্ছে। শুষ্ক চুল অর্থাৎ যে চুলে কোনও প্রাণ নেই, নিস্তেজ। যে চুলে আর্দ্রতার অভাব রয়েছে। তার সঙ্গে চুল পড়া, খুশকির সমস্যা রয়েছে। এই ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনাকে তেলের উপরই ভরসা রাখতে। এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল চুলের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক, চলুন জেনে নেওয়া যাক…
চুলের যত্নে অলিভ অয়েল দারুণ উপকারী। ফ্রিজি চুলের সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে নতুন গজাতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে চুলের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে। অর্থাৎ পাকা চুলের সমস্যাকে দূর করে অলিভ অয়েল। যাঁরা দু’মুখো চুলের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা বারবার চুল কাটার বদলে অলিভ অয়েলকে বেছে নিন। চুলে নিয়মিত অলিভ অয়েল মালিশ করলে এটি ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখবে এবং চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করবে। অলিভ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। তাই খুশকির সমস্যা এবং স্ক্যাল্পে সংক্রমণের সমস্যা দূরে থাকে। প্রতিদিন অলিভ অয়েল মালিশ ব্যবহার করলে আর কোনও প্রসাধনী পণ্যের প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু রোজ যদি চুলের যত্ন নেওয়ার সময় না থাকে, তাহলে অলিভ অয়েলের তৈরি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
অলিভ অয়েল ও মধুর হেয়ার মাস্ক-
২ চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ২ চামচ তিলের তেল এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা ভাল করে চুলে ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। ১৫-৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
অলিভ অয়েল এবং অ্যালোভেরা হেয়ার মাস্ক-
২ চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর হালকা হাতে মালিশ করুন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’বার আপনি এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।