
প্রসাধনী পণ্যের বিজ্ঞাপনে অনেক সময় দেখা যায়, মুখে সাবান ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও কাজ থেকে বাড়ি ফিরে হাত-মুখ ধোওয়ার সময় অনেকেই মুখে সাবানও দিয়ে দেন। এমন অনেকে মাঝবয়সি মধ্যবিত্ত রয়েছেন যাঁরা মুখ ধোওয়ার জন্য সাবান ব্যবহার করেন। কিন্তু মুখে সাবান দেওয়ার অভ্যাস কি আদৌ ভাল? বাজারে একাধিক নামী-দামি ফেসওয়াশ, ফেস-ক্লিনজার রয়েছে, তবুও মুখ পরিষ্কার করতে সুগন্ধী সাবানের উপর ভরসা রাখেন মানুষ। এই অভ্যাস কতটা অস্বাস্থ্যকর, চলুন জেনে নেওয়া যাক…
ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
শীতের দিনে ত্বক নিজে থেকেই শুষ্ক হয়ে যায়। তার কারণ আর্দ্রতার অভাব। কিন্তু শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সাবান ব্যবহারের কারণেও হতে পারে। যদি আপনি মুখ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করেন তাহলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। আর এই সমস্যা শুধু শীতে নয়, বরং সারা বছরই ত্বক শুষ্ক দেখায়। সাবান ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। শীতে এই সমস্যা আরও বেশি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট হয়
সাবান ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে মুখে সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ত্বকের পিএইচ মাত্রা ৫.৫ হয়। সাবানের মধ্যে ক্ষার রয়েছে, যা ত্বকের উপরের স্তরের এনজাইমের কার্যকলাপকে পরিবর্তন করে ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে।
ত্বকের কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়
সাবান ত্বকের উপরের স্তরকে হাইপার-হাইড্রেট করে তোলে। এতে ত্বকের বিল্ডিং ব্লক অর্থাৎ কেরাটিনোসাইটের ক্ষতি হয়। মুখে সাবান মাখলে ত্বকের কোষ এবং কোলাজেন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ত্বকে প্রদাহ দেখা যায়।
মুখে বয়সের ছাপ পড়ে
আপনি ত্বকের যত্ন নিলে তবেই সেটি ভাল থাকবে। নিয়মিত মুখে সাবান মাখলে ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকে প্রকাশ পায় বার্ধক্যের লক্ষণ। বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা চোখে পড়ে। এছাড়াও ব্রণ, এগজিমা, দাগছোপ, ফুসকুড়ি সমস্যা সহজে পিছু ছাড়ে না।
মুখ পরিষ্কার করবেন যে ভাবে…
ত্বককে ভাল রাখতে গেলে ফেসওয়াশ কিংবা মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ফেসওয়াশ, ক্লিনজার এগুলো মুখ পরিষ্কারের জন্যই তৈরি করা হয়। এগুলোতে এমন উপাদান থাকে যা মুখে জমে থাকা ধুলো, বালি, ময়লা দূর করে দেয় এবং ত্বকের পিএইচ স্তরের তারতম্যও ঘটে না। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক দেখায় এবং ত্বকের প্রদাহও কমে।