শুধু মহিলারাই নন, পুরুষদেরও স্বাস্থ্যকর ও ঘন চুলের ইচ্ছে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে অনেকেরই মোটা ও ঘন চুল থাকে না। তবে উজ্জ্বল ও সুস্থ চুলের জন্য একটু সময় বের করতেই হয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাথার ত্বক ও চুলের গুণ ও শক্তির উপর প্রভাব বিস্তার করে। তাই পর্যাপ্ত পুষ্টির জন্য নিজেদেরকেই সেই পদক্ষেপ নেওয়া দরকরা। শীতকালে চুলের যত্নের অভাবে শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময় চুল আরও নিস্তেজ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় চুলের প্রাণবন্ত জীবন ফিরিয়ে আনার সেরা প্রতিকার কী আপনার জানা আছে?
এর সঠিক উত্তর রয়েছে বলিউডের অন্যতম অভিনেত্রী কিয়ারা আডবানীর কাছে। শীতের দিনগুলিতে চুলের যত্নের রুটিন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তিনি। আর এই যত্ন তিনি শৈশব থেকেই নিয়েছেন। তাঁর কথায়, তিনি কোনও বাজারচলতি পণ্যের উপর নয়, বিদেশি পণ্যের উপর নির্ভর করে চুলের যত্ন নেন না। বাড়ির রান্নাঘরের উপকরণ দিয়েই চুলের যত্ন নিয়েছেন বরাবর। ছোটবেলা থেকেই সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য দই ও ডিম ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে হোলির সময় এই উপকরণ দিয়ে হেয়ারপ্যাক বেশি কাজে লাগে।
কিয়ারা জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই তাঁর মা তাঁর চুলে ডিম ও দই দিয়ে হোলির সময় সব রঙ তুলে ফেলতেন। চুলের পুষ্টি যোগাতে এই উপকরণ দুটির কোনও বিকল্প নেই। কিয়ারা আরও জানিয়েছেন, তাঁর চুলের গুণ ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করেন।
দই ও ডিম উপাদানগুলি ভারতীয় বেশিরভাগ রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায়। উভয়ই চুলের পরিচর্চায় পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর দই মাথার ত্বককে সংক্রমণ মুক্ত রাখে। এছাড়া চুলকানি ও খুশকির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া এবং মাথার ত্বককে স্বাভাবিকভাবে ময়েশ্চারাইজ রাখে। চুলে দই ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। অন্যদিকে ডিম চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং ভাঙ্গা কমাতে সাহায্য করে। চুল আরও মজবুত এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়।