বিশেষজ্ঞদের যদি জিজ্ঞাসা করেন, স্কিন কেয়ার কেমন হওয়া উচিত? তার উত্তর হবে ‘CTM’ – অর্থাৎ ক্লিনজার (cleanser), টোনার (toner), ময়েশ্চারাইজার (moisturiser)। মুখ পরিষ্কার করতে ক্লিনজার আর ত্বককে ভাল রাখতে ময়েশ্চারাইজার প্রায় সকলেই ব্যবহার করেন। কিন্তু টোনারের উপর কি একই গুরুত্ব দেন? মুখ পরিষ্কার করার পর ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তখনই কাজে আসে টোনার। মুখ ধোয়ার পর ত্বক টোনার বুলিয়ে নিলে এটি ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে, ওপেন পোরসগুলো পরিষ্কার করে দেয়। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকের সতেজতা ধরে রাখে টোনার।
বাজারে একাধিক নামীদামি ব্র্যান্ডের টোনার পাওয়া যায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ীও টোনার পাওয়া যায়। বেশিরভাগ টোনার ত্বকের উপর অ্যাস্ট্রিজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া টোনারের মধ্যে অ্যালকোহলও থাকে। কিন্তু ত্বকের উপর ঘন ঘন অ্যালকোহলের প্রয়োগ ভাল নয়। তাই বাজারচলতি টোনার ব্যবহারের বদলে বাড়িতে বানিয়ে নিন টোনার। কীভাবে বাড়িতে টোনার বানাবেন, রইল টিপস।
শুষ্ক ত্বকের টোনার-
১/২ শসা মিক্সিতে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার ওই পেস্ট ছেঁকে শসার রস বের করে নিন। এর সঙ্গে ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ২ চামচ জল মিশিয়ে নিন। উপকরণগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এবার এই টোনারটা ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ব্যবহার করুন এই ফেস টোনার।
নরম্যাল স্কিনের জন্য টোনার-
১ কাপ জলে একটি ক্যামোমাইলে চায়ের ব্যাগ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। চা তৈরি হয়ে গেলে এর সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং ২-৬ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। মধুটা জলের সঙ্গে মিশে ভাল অবধি ভাল করে মিশ্রণটা নাড়িয়ে নিন। তারপর স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করুন টোনার।
তৈলাক্ত ত্বকের টোনার-
১ কাপ জলে একটি গ্রিন টিয়ের ব্যাগ ডুবিয়ে চা বানিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে বেদানার রস মিশিয়ে নিন। বাকি স্প্রে বোতল ভরে নিন জল দিয়ে। তৈরি টোনার। এই টোনার যেমন আপনার মুখ থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে দেবে, তেমনই বেদানার রস জেল্লা বাড়িয়ে তুলবে।