দিনে শুরুটা একটা দুর্দান্ত স্নান দিয়ে শুরু করা উচিত। তাহলে সারাদিন মেজাজ ফুরফুরে থাকে। একই ভাবে যখন দিনের শেষে ঘেমেনেয়ে বাড়ি ফেরান তখন স্নান না করলে তরতাজা অনুভূতি পাওয়া যায় না। আর স্নানের সঙ্গে যদি কোনও সুগন্ধি বডিওয়াশ থাকে তাহলে আমেজটাই পাল্টে যায়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাওয়ার জেল পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি আপনার পছন্দমতো বডিওয়াশ বাড়িতেই বানিয়ে নেন। অনেকেই মনে করেন যে, বাড়িতে শাওয়ার জেল তৈরি করা কঠিন কাজ। কিন্তু সেটা নয়। মূলত বাড়িতে কাস্টাইল সোপ থাকলেই আপনার কাজ সহজ হয়ে যাবে। আর যদি কাস্টাইল সোপ না থাকে তাহলে যে কোনও প্রসাধনী পণ্যের দোকানে বা অনালাইন স্টোরে এটি পেয়ে যাবেন। কিন্তু কাস্টাইল সোপ দিয়ে কীভাবে বডিওয়াশ তৈরি করবেন, চলুন দেখে নেওয়া যাক…
মধু দিয়ে তৈরি করুন বডিওয়াশ-
একটি পাত্রে ৩/৪ কাপ তরল কাস্টাইল সোপ নিন। এতে ৩/৪ কাপ আমন্ডের তেল ও ১/২ কাপ মধু মিশিয়ে নিন। সুগন্ধের জন্য এই মিশ্রনে যোগ করুন ১০ ফোঁটা রোজ় এসেনশিয়াল অয়েল এবং ৫ ফোঁটা লেমনগ্রামের এসেনশিয়াল অয়েল। উপাদানগুলোকে ভাল করে মিশিয়ে দিন। একটা বোতলে এই মিশ্রণটি ভরে নিন। স্নানের সময় ব্যবহার করুন বডিওয়াশ। আপনার যদি শুষ্ক ত্বক হয়ে থাকে তাহলে মধু দিয়ে তৈরি এই বডিওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।
পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে তৈরি করুন বডিওয়াশ-
১ কাপ তরল কাস্টাইল সোপ নিন। এতে ৫ চা চামচ গ্লিরাসিন যোগ করুন। এবার এতে ১০ ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েল এবং ১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। উপাদানগুলোকে ভাল করে মিশিয়ে দিন। একটা বোতলে এই মিশ্রণটি ভরে নিন। স্নানের সময় ব্যবহার করুন বডিওয়াশ। যেহেতু এতে পেপারমিন্ট ও টি ট্রি অয়েল রয়েছে তাই এটি আপনাকে ফ্রেশনেস এনে দেবে। পাশাপাশি আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় কিংবা ব্রণপ্রবণ হয় তাহলে আপনি এই বডিওয়াশটি ব্যবহার করতে পারেন।
গোলাপ জল দিয়ে তৈরি করুন বডিওয়াশ-
২ কাপ তরল কাস্টাইল সোপ নিন। এতে ১ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ৩ টেবিল চামচ আমন্ডের তেল যোগ করুন। এতে ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। উপাদানগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি একটা বোতলে ভরে নিন। স্নানের সময় ব্যবহার করতে পারেন এই বডিওয়াশ। স্বাভাবিক ত্বকের ব্যক্তিরা এই বডিওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।