মেয়নিজের সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। বার্গার বা স্যান্ডউইচে কামড় বসাতেই ঠোঁটের দুধার দিয়ে কুলকুল করে যে মেয়োনিজ আর চিজ আগ্নেয়গিরির মতো উদ্ঘাটিত হয়, এমন ঘটনার সঙ্গে সকলেই বেশ পরিচিত। মেয়নিজ তৈরি হয় ডিম, তেল আর ভিনিগারের সংমিশ্রণে। এ উপাদানগুলো রুক্ষ চুলের জন্য খুবই উপকারী। মেয়নিজে থাকা ভিনেগার চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে, তেল চুলের স্ক্যাল্প-কে কন্ডিশন করে আর ডিমে থাকে বায়োটিন নামের এক ধরনের নিউট্রিয়েন্ট, যা চুলের গোড়া মজবুত করে।
চুলের যত্নে মেয়োনিজের উপকারীতা
মেয়োনিজে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা এল-সিস্টাইন নামে পরিচিত। এর ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মেয়োনিজে ডিম থাকে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগানের জন্য এটি বেশ উপকারী।
ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় চুলকে তাজা ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডিপ কন্জিশনার হিসেবেও বেশ কার্যকরী। বাজারচলতি কন্ডিশনার ব্যবহার না করে শ্যাম্পুর পর মেয়োনিজ ব্যবহার করতে পারেন।
– চুলকে হাইড্রেট করতে মেয়োনিজের বিকল্প নেই । তেল, ক্যানোলা ও সোয়াবিন তেল, ডিমের কুসুম, ভিনিগার ও লেবুর রস রয়েছে মেয়োনিজে। চুলের ত্বকে ও চুলকে সতেজ রাখতে মেয়োনিজ খুবই ভাল উপকরণ।
– ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে কোমল, স্মুথ, মসৃণ করতে মেয়োনিজ ব্যবহার করতে পারেন। প্রোটিন, ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে চুলে উজ্জ্বলতাও বাড়ে। চুলের পুরোপুরি দেখভালের জন্য মেয়োনিজ যে পারফেক্ট, তা বলাই বাহুল্য।
– চুলে খুসকির সমস্যা, চুলকানির সমস্যা থাকলে মেয়োনিজ একটি টনিকের মতো কাজ করে। চুলের ত্বকের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নির্মূল করে খুসকি হঠাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: অদ্ভূত হলেও ট্রেন্ডিং! নাকের মেকআপ নিয়ে কিছু অজানা তথ্য
হেয়ার মাস্ক হিসেবে কীভাবে ব্যবহার করবেন
প্রথমে গোটা চুলকে জলে ভিজিয়ে নিন। এরপর চুলের ভলিউম দেখে মেয়োনিজ নিন। গোটা চুলে কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করুন। চুলের স্ক্যাল্পেও মেয়োনিজ ব্যবহার করলে উপকার মিলবে দ্রুত। ৪-৫ মিনিট ধরে ভাল করে মাসাজ করুন। এবার কাঠের একটি চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন যাতে মেয়োনিজ চুলের সবদিকেই ছড়িয়ে পড়ে।
শাওয়ার ক্যাপ পরে ২০ মিনিট ওয়েট করুন। এবার পছন্দের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এইভাবে ব্যবহার করলে দারুণ সুফল পাবেন।