ত্বকের জন্য সবসময় প্রাকৃতিক, জৈব উপকরণ ব্যবহার করাই উচিত। তাতে ত্বক মসৃণ ও সুস্থ থাকে। গ্ল্যামার জগতের অধিকাংশ সেলেব্রিটি তাঁদের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য কী কী উপকরণ ব্যবহার করেন, তার দিকে বেশি কৌতূহল থাকে। তবে সবচেয়ে মৌলিক উপাদান দিয়েই প্রায় অধিকাংশই ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে পছন্দ করেন। যেম শাহিদ কাপুরের স্ত্রী মীরা রাজপুত বা টেলিভিশন জগতের তারকা অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি ত্বককে সুস্থ ও মসৃণ করতে এই একটি উপাদানের উপর দারুণ ভরসা রাখেন।
অনেকেই শুনে থাকবেন এই বিশেষ আয়ুর্বেদিক তেলের নাম। কুমকুমাদি তেল। যা কুমকুমাদি তৈলাম নামেও পরিচিত। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে এতে। মুখের ত্বকের পুষ্টির জন্য সম্পূর্ণ একটি স্কিনকেয়ার সলিউশন। ফেসিয়াল ক্লিনজার,টোনার ও ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে এটি। কুমকুমাদি তেলের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।
এই তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি সংবেদনশীল ত্বক হয়, তবে রাসায়নিক দিয়ে প্যাক করা ক্রিমগুলির পরিবর্তে, আপনি প্রদাহ উপশম করতে কুমকুমদি তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে প্রশমিত করে। এটি একটি মেকআপ রিমুভার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। এর জেরে ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। পরিবর্তে মুখ থেকে সমস্ত অতিরিক্ত ময়লা এবং দাগ মুছে ফেলে এটি।
কুমকুমদি তেলের উপকারিতা
স্কিন টোন
কুমকুমাদি তেল আপনার ত্বকের টোনকে আলাদাই মাত্রা এনে দেয়। যদি কালো দাগ বা পিগমেন্টেশন থাকে তবে এই তেল ত্বককে প্রয়োজনীয় বুস্ট করে এবং উজ্জ্বল করে। নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলিও কমাতে পারে।
প্রদাহ উপশম করে
যুগ যুগ ধরে, এই তেলটি একটি অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং জীবাণুনাশক হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন ঔষধি এবং প্রাকৃতিক তেলের একটি অনন্য মিশ্রণ। ক্ষত এবং দাগ নিরাময় করে। ত্বকে কোনও প্রকারের প্রদাহ হলে কুমকুমদির তেল তা উপশম করতে পারে এবং চুলকানি ও জ্বালা-পোড়া কমাতে পারে।
ত্বকের সব দিক খেয়াল রাখে
জাফরান, চন্দন এবং হলুদের মতো উপাদান রয়েছে এই তেলে। সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য একটি পারফেক্ট উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করতে, ত্বকের টোন ঠিক রাখতে ও দাগ মিলিয়ে দিতে সাহায্য করে। ত্বককে মসৃণ করে এবং প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসাবে পরিচিত।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে
প্রাকৃতিক UV সুরক্ষা উপাদান হিসাবে, এই তেল সূর্যের UVA এবং UVB রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
ব্রণ প্রতিরোধ করে
কুমকুমাদির তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির গুণ রয়েছে। যার ফলে ব্রণের মতো ত্বকের সমস্যাগুলির জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুধু এই তেলটি আপনার রুটিনে প্রয়োগ করতে পারেন, কারণ এটি ক্লিনজার হিসাবে কাজ করে এবং অতিরিক্ত তেল, ময়লাও দূর করে।
আরও পড়ুন: Skincare Tips: ছুটি কাটাতে গিয়ে ত্বকের অবস্থা দফারফা! ত্বকের জন্য কী কী দরকার, দেখুন ছবিতে…