
বহু প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মুলতানি মাটি। রূপকথার গল্পে এই মাটির অনেক উল্লেখ রয়েছে। তখন রানি-রাজকন্যাদের হাতে এত সামগ্রী ছিল না। রূপচর্চায় ভরসা ছিল কাঁচা হলুদ, দুধের সর, মুলতানি মাটিন এইসব। ত্বকের জন্য এই মুলতানি মাটি খুবই ভাল। এখনও আয়ুর্বেদিক নানা সামগ্রী তৈরি করতেও ব্যবহার করা হয় এই মাটি। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁদের ক্ষেত্রে এই মুলতানি মাটি খুবই ভাল। মুলতানি মাটি আর গোলাপ জল দারুণ কাজ করে এক্ষেত্রে। নিয়মিত মাখলে ব্রণর সমস্যা কমে যায়। আবার যাদের ত্বক শুষ্ক তাঁরা যদি মুলতানি মাটি আর দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করেন তাহলেও খুব ভাল কাজ হয়। মুলতানি মাটি, টমেটোর রস আর চন্দন একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর উপর লাগালে চট করেই ব্রণ বসে যায়। তবে মুখে লাগানো ছাড়াও মুলতানি মাটির একাধিক কাজ রয়েছে। জানতেন কি?
বডিওয়াশ হিসেবেও কাজে লাগাতে পারেন মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটির সঙ্গে কাঁচা দুধ, মধু আর একদম অল্প লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তা দিয়ে একটা ভাল করে প্যাক বানিয়ে নিন। হাতে-পায়ে এই প্যাক লাগিয়ে রেখে শুকনো করে নিতে হবে। শুকনো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে নোংরা-ময়লা উঠে আসবে আর ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বলও থাকবে।
যদি ত্বকের কোনও সমস্যা থাকে, অ্যালার্জি, খোশ-পাঁজরা এসব হয় তাহলে মুলতানি মাটির সঙ্গে নিমপাতা দিয়ে ফোটানো জল ছেঁকে ওর সঙ্গে কাঁচা হলুদ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার তা হাতে-পায়ে খুব ভাল করে লাগিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই প্যাক লাগিয়ে স্নান করলে ত্বকের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আবার হলুদ গুঁড়ো, চন্দন গুঁড়ো, নিম পাতার গুঁড়ো, মুলতানি মাটি শুকনো মিশিয়ে রেখে দিন। স্নানের আগে কাঁচা দুধের মধ্যে মিশিয়ে মেখে নিতে হবে। এতে ত্বক উজ্জ্বল আর চকচকে থাকবে। কোনও রকম সমস্যাও আসবে না।
যাঁদের চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাঁরাও সপ্তাহে একদিন মাথায় মুলতানি মাটির প্যাক লাগুয়ে নিতে পারেন। এতে চুল ভাল থাকবে। মুলতানি মাটি আর চন্দের গুঁড়ো একসঙ্গে মিশিয়ে মালিশ করলে রক্ত সংবহন ঠিক থাকে। ত্বকের কোনও সমস্যাও হয় না।