Raisin Water: শেষপাতে স্বাদ বাড়ায়, তবে কিশমিশ ধোওয়া জল মুখের গ্লো বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী, জানতেন?

Skin Care Tips: রোজ রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সেই জলই কাজে লাগান রূপচর্চায়

Raisin Water: শেষপাতে স্বাদ বাড়ায়, তবে কিশমিশ ধোওয়া জল মুখের গ্লো বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী, জানতেন?
ত্বকের যত্নে কিশমিশ

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Sep 22, 2022 | 9:55 AM

আঙুর শুকিয়েই তৈরি হয় কিশমিশ। আর এই কিশমিশের বাজার জোড়া প্রচুর সুখ্যাতি রয়েছে। প্রাচ্য দেশে এর উৎপাদন বেশি হলেও বিভিন্ন রূপকথায় নিজের জায়গা করে নিতে পিছপা হয়নি। আর তাই প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এর বহুল ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। শুক-সারি কিশমিশ খেতে ভালবাসত, রানি আর রাজকন্যারাও নিজেদের রূপটানে ব্যবহার করত কিশমিশ। এদিকে শেষপাতে পায়েস-চাটনির স্বাদ বাড়াতে কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার। তবে কিশমিশ ধোওয়া জল রোজ ব্যবহার করতে পারলে যে মিখের গিলো বাড়ে তা কি জানতেন? পুজোয় যেমন নতুন জামা চাই তেমনই গ্লোয়িং স্কিনও চাই। তাই ঝকঝকে তকতকে স্কিন পেতেই জমতে শুরু করেছে পার্লারে । তবে পকেট বাঁচাতে চাইলে আপনিও শুরু করুন বাড়ি থেকেই।

কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন B6, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং কপার। এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টঅক্সিডেন্ট। আছে ভিটামি ই। ত্বক আর চুলের জন্যও উপকারী হল কিশমিশ। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে যে ভাবে কাজে লাগাবেন কিশমিশকে-

দেড়শো গ্রাম কিশমিশ নিতে হবে। এবার তা ২ টো কাপে ভাগ করে ভিজিয়ে রাখুন। এই কিশমিশ ধোওয়া জল রোজ সকালে উঠে খালি পেটে খেতে পারলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। ত্বক থাকে ঝকঝকে। পিরিয়ডসের সমস্যারও এনেকখানি সমাধান হয়।

এই কিশমিশ ভেজানো জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে মুখের ফ্রেশনেস বজায় থাকবে। মুখে মেচেতার দাগ বা কালো দাগছোপ থাকলে কিশমিশ ধোওয়া জল ভীষণ রকম উপকারী।

কিশমিশ জলের ফেসপ্যাক

কিশমিশ ভেজানো জল ছেঁকে নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে চালের গুঁড়ো দিন ২ চামচ। সব মিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। যদি ত্বকে অয়েলের ভাব বেশি থাকে তাহলে এই প্যাকে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও বেশ ভাল উপকার পাবেন।