নিখুঁত ত্বকে নিয়ে নানা চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া হয় না। আবার অনেক সময় নামী-দামি প্রসাধনী পণ্যও বিশেষ কিছু কাজ দেয় তা কিন্তু নয়। আসলে ত্বকের যত্নে শুধু স্কিন কেয়ার রুটিন মানলেই চলে না। পাশাপাশি আপনাকে ডায়েটের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। যত বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন এবং প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের খেয়াল রাখবেন, ততই ত্বকের জেল্লা বাড়বে। আর এক্ষেত্রে আপনি ভরসা করতে পারেন কিশমিশ ভেজানো জলের উপর। প্রতিদিনের ডায়েটে যদি কিশমিশ ভেজানো জল রাখেন, এটি আপনার শরীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে। এই খাবারে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম এবং কপারের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। অন্যদিকে, কিশমিশের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য আপনাকে কিশমিশ ভেজানো জল পান করতে হবে।
কিশমিশ ভেজানো জল ও ত্বকের উপকারিতা-
কিশমিশ ভেজানো জলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এতে ত্বকের যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই রয়েছে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং মুখের জেল্লা বাড়ায়। ভিটামিন সি ত্বকের নতুন কোষ গঠনেও সাহায্য করে।
কীভাবে কিশমিশ ভেজানো জল তৈরি করবেন-
৩-৪ কাপ জল নিন। এর মধ্যে ২৫০ গ্রাম কিশমিশ মিশিয়ে দিন। এই জলটা সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে এই জল ছেঁকে কিশমিশগুলো আলাদা করে দিন। খালি পেটে এই জল পান করলে প্রচুর উপকার পাবেন।
ত্বকের যত্নে কিশমিশ ভেজানো জল-
কিশমিশ ভেজানো জলে এক চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণটা ঘন করার জন্য প্রয়োজন মতো বেসন মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা ত্বকের উপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ এই ফেসপ্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এই ফেসপ্যাকে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন।
টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন কিশমিশ ভেজানো জল-
ফেসটোনার কিশমিশ ভেজানো জল ব্যবহার করতে পারেন। কিশমিশ ভেজানো জলে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে দিন। একটি স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি ভরে ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটা ত্বকে স্প্রে করুন। কিছুক্ষণ এটা মুখে তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে দিন।