
চুলে যতই ট্রিটমেন্ট, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করান না কেন তেল না দিলে কোনও কাজ হয় না। যতই আমরা আধুনিক হই না কেন আজকাল বিশেষজ্ঞরাও বলছেন সেই মা-দিদিমাদের টোটকাই মেনে চলতে। কথায় আছে জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা। আর তাই চুলে যতই শ্যাম্পু করা হোক না কেন নিয়ম করে একটু তেল লাগাতেই হবে। তেমনই মুখে ক্রিম মাখলেও একটু তেল লাগীতেই হবে। মুখে তেল মাখার রীতি আজ নয় চলছে সেই বহুযুগ আগে থেকেই। চুল আর মুখের জন্য খুব উপকারী হল জোজোবা অয়েল। জোজোবা গাছের থেকে পাওয়া যায় এই তেল। চুল আর ত্বকের জন্য ভীষণ রকম উপকারী। ইদানিং রূপচর্চাতেও এই তেলের অনেক ব্যবহার রয়েছে। জোজোবা অয়েলের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুল আর ত্বকের জন্য খুবই ভাল।
অনেকেই মুখে রোজ ভিটামিন সি সিরাম লাগান। এই সিরাম ত্বকের জন্য ভাল নিঃসন্দেহে। তবে সিরামের পরিবর্তে ব্যবহার করা যেতে পারে জোজোবা অয়েল। এর মধ্যে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ত্বকে পুষ্টি দেয় এবং ময়েশ্চারাইজারেরও কাজ করে।
জোজোবা অসেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এই সময়ে ত্বকে নানা রকম সংক্রমণ হয়। আর সেই সংক্রমণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে জোজোবা অয়েল। নিয়মিত ভাবে এই তেল ব্যবহার করলে সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই মেলে।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রে ব্রণর সমস্যাও অনেক বেশি হয়। এসব ক্ষেত্রেও কিন্তু কাজে লাগানো যেতে পারে জোজোবা অয়েল। ব্রণ, অ্যাকনের সমস্যায় এই তেল বেশ ভাল কাজ করে। ব্রণ হলে ব্যথা হয়। সেক্ষেত্রে ব্রণর উপর জোজোবা অয়েল লাগালে কাজ হয় অনেকটাই।
জোজোবা অয়েলের মধ্যে থাকে ভিটামিন ই। যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভাল। ত্বক মোলায়েম থাকে সেই সঙ্গে এই জোজোবা অয়েল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে। ত্বকে কোনও রকম দাগ-ছোপ থাকে না। সেই সঙ্গে যে কোনও পোড়া দাগ মিলিয়ে যেতে সাহায্য করে এই জোজোবা অয়েল।
চুলে হেয়ার মাস্ক হিসেবে কাজ করে জোজোবা অয়েল। চুলের গোড়ায় খুব ভাল করে ম্যাসাজ করুন এই তেল। এতে যেমন চুল ঝরা কমবে তেমনই শুষ্কতার হাত থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। জোজোবা অয়েল ম্যাসাজ করে কিন্তু শ্যাম্পু করতে ভুলবেন না।