সারাদিন ত্বক ও চুলের সমস্যা (Hair Problems) মেটাতে বিভিন্ন সময় রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি। অনেক প্রোডাক্টের মধ্যে অ্যাসিড ও অ্যালকোহল প্রয়োগ করা থাকে, তাতে ত্বক ও চুলের গোড়ায় মারাত্মক ক্ষতি সৃষ্টি করে। বাইরের দিকটি যতই সুন্দর দেখাক না কেন, অভ্যন্তরীন নিরাময়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা হয়। ত্বক ও চুলে যে পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেই রাসায়নিক নির্মূল করে স্বাস্থ্যকর (Healthy Skin) গড়ে তুলতে অনেকটা সময় ব্যয় করা হবে। আর এই ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে অকালে চুল পড়া, চুল পেকে যাওয়া, ত্বকে ব্রণ তৈরি হওয়া, ব্রণের দাগ ও কালো ছোপ পড়ে থাকে। চুল ও ত্বকের যাবতীয় সমস্যা মেটাতে আয়ুর্বেদিক নিয়ম (Ayurvedic Rules) মেনে সকালে উঠেই কেশর জল পান করা উচিত। তাতে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ও চুল হবে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল।
কেশর জলের উপকারিতা
কেশর অত্যন্ত ব্য়য়বহুল হলেও, অধিকাংশ ভারতীয়দের রান্নাঘরে কেশর মজুত থাকেই। বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবারে স্বাদ ও রঙ আনতে কেশরের ব্যবহার করা হয়। কেশরের উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনি কেশরের জলেরও রয়েছে অনেক গুণ। ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য এই কেশরের জলই যথেষ্ট। কয়েকটি কেশর নিয়ে গরম জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে কেশর ভেজানো জল খান। অনেকেই বিশ্বাস করেন তেঁতো জাতীয় খাবার খেলে ত্বক ও চুল থাকে স্বাস্থ্যকর। এমন ধারণা একেবারেই অমূলক।
ত্বকের জন্য কেশরের উপকারিতা
– কেশরে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, ফার্মাকোলজিক্যাল বৈশিষ্ট্যের সমৃদ্ধ।
– ব্রণের প্রবণতা থাকলে ত্বকের উপর ব্রণের দাগ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। সদ্য গজিয়ে ওঠা ব্রণের পাশাপাশি ব্রণের দাগ মেটাতেও কেশরের জল অত্যন্ত উপকারী।
– ত্বকের পিগমেন্টশন উপশম করতে কেশরের জল প্রতিদিন সেবন করুন।
– জ্বালাভাব ও লাল র্যাশেস বের হলে কেশরের জল খান প্রতিদিন।
– ত্বকের অভ্যন্তরীন কালো দাগকে নির্মূল করতে সাহায্য করে।
– এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল, যা ত্বককে সতেজ ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
– ত্বককে উজ্জ্বল করতে কেশরের গুণ অনেক। এছাড়া ত্বকের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন করতে ও অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
চুলের জন্য কেশর জলের উপকারিতা
– অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে।
– ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে স্বাস্থ্যকর গড়ে তুলতে কেশরের জল অনেক উপকারী।।
-প্রাকৃতিকভাবে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
– চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
প্রসঙ্গত টানা তিনমাস ধরে, রোজ সকালে খালি পেটে কেশরের জল পান করুন। ফল পাবেন হাতে নাতে।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)