
গরমকাল মানেই ত্বকের সমস্যা। রোদে বেরোলে ট্যান পড়বেই। সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির থেকে বাঁচায়। কিন্তু ট্যান থেকে বাঁচতে গেলে আপনাকে মুখ, হাত-পা ঢেকে বেরোতে হবে। সেটাও এই গরমে সম্ভব নয়। রোদে বেরোলে চামড়ার রং পরিবর্তন হয়ে যায়। মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে হাইপারপিগমেনটেশন বলে। সহজ ভাষায় বলা হয় সান ট্যান। ত্বকের বর্ণ ফেরাতে এবং ট্যান দূর করতে ডি-ট্যান প্যাক খুব বেশি কার্যকর হয় না। তাছাড়া ডি-ট্যান প্যাক ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই বেছে নিতে হবে ঘরোয়া প্রতিকার।
হেঁশেলে থাকা কফি আপনার ট্যান দূর করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। কফির মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। কফি ট্যান দূর করার পাশাপাশি আপনার ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। কফির মধ্যে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে। এতে ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল, বলিরেখা, দাগছোপ থেকে দূরে রাখা যায়। এখন বাজারে অনেক প্রসাধনী পণ্য পাওয়া যায়, যার মধ্যে কফি থাকে। সেগুলো কিনতে গেলে আপনাকে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করতে হবে। কিন্তু ১০টাকার কফির প্যাক কিনে আপনি ট্যান দু’মিনিটে দূর করতে পারবেন। কীভাবে, জেনে নিন…
কফি ও মধুর মাস্ক- ১ চামচ কফি গুঁড়োর সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কফি ও দুধের মাস্ক- ১ চামচ কফি গুঁড়োর সঙ্গে ১-২ চামচ দুধ মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ত্বকে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেললেই কাজ শেষ।
কফি ও অ্যালোভেরার মাস্ক- সমপরিমাণ কফি ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন।
কফি, চিনি ও নারকেল তেল- অর্ধেক কাপ কফি নিন। এর সঙ্গে অর্ধেক কাপ চিনি ও ১/৩ কাপ নারকেল তেল ও ২ চামচ জল মিশিয়ে নিন। এটা হল বডি স্ক্রাব। এই বডি স্ক্রাব নিয়ে হালকা হাতে ত্বকের উপর ঘষুন। ২-৩ মিনিট ঘষার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই বডি স্ক্রাব আপনি সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করতে পারেন। এতেই সমস্ত ট্যান উধাও হয়ে যাবে।