
সবার ত্বক এক ধরনের হয় না। কারও শুষ্ক তো কারও অত্যন্ত তৈলাক্ত। আবার ঋতু অনুযায়ী সকলের ত্বকে বদল আসে। যেমন গরমে কারও মুখে বাড়ে তেলতেলে ভাব ও ব্রণ। আবার কারও ত্বক নিস্তেজ দেখায়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঠিক স্কিন কেয়ার আপনাকে মেনে চলতেই হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং—এই ৩ ধাপের বাইরেও সপ্তাহে একদিন ফেসপ্যাকের সাহায্য নিন। DIY ফেসপ্যাক আপনার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল, ময়লা, মরা কোষ দূর করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী কোন ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন? সেই উত্তরই রইল এখানে।
শুষ্ক ত্বকের ফেসপ্যাক
মধু শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া উপাদান শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বকে প্রাণ এনে দেয়। পাশাপাশি শুষ্কভাব দূর করে। দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগাতে পারেন। এছাড়া মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং দু’ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর লাগান। এই উপায়ে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন শুষ্ক ত্বকের DIY ফেসপ্যাক। এই ফেসপ্যাক দু’টি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বেকিং সোডা মুখ থেকে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইট হেডসের সঙ্গে অতিরিক্ত তেল অপসারণ করে দেয়। বেকিং সোডা দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে এক চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে জল মিশিয়ে DIY ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ১০ মিনিট ত্বকের উপর লাগিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক উন্মুক্ত পোরসের সমস্যা দূর করে, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে দেয়। পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহ কমায়।
কম্বিনেশন ত্বকের ফেসপ্যাক
কম্বিনেশন স্কিনে নাকের দু’পাশ এবং কপালে তৈলাক্ত ভাব লক্ষ্য করা যায়। গরমে কমবেশি সকলেই এই সমস্যায় ভোগেন। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি ডিমের তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক আপনার মুখ থেকে সমস্ত তেল ও ময়লা অপসারণ করে দেবে। পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা দূর করে দেবে এই ফেসপ্যাক।