পুজোর আগেই সবচেয়ে বেশি চুল পড়ে। এর প্রধান কারণ হল আবহাওয়া। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। কখনও তীব্র গরম কখনও বৃষ্টি এই প্যাচপ্যাচে আবহাওয়াতে ঘাম বেশি হয়। এই ঘাম চুলে বসে গেলে সেখান থেকে চুল ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বর্ষার খানখেয়ালি বৃষ্টি তো আছেই। বাড়ি থেকে শ্যাম্পু করে বেরনোর পর হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। সেখান থেকেও চুল ঝরে যাওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও এখন চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা সারাবছরই লেগে থাকে। দামি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহার করেও এর কোনও সুরাহা হয় না। চুল মাত্রাতিরিক্ত পড়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই খরচা করে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট করান। তাতেও খুব একটা কাজ হয় না।
চুল পড়ার সমস্যায় যোগগুরু রামদেব দিলেন এই বিশেষ টিপস। মেনে চলতে পারলে মাত্র ৭ দিনেই মিটবে চুল নিয়ে নাজেহাল এই সমস্যা। চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান লুকিয়ে এই বিষ তেলেই। আগেকার দিনে চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় সরষের তেল, নারকেল তেল আর টকদই ছিল ভরসা। এই ঘরোয়া টোটকাতেই চুল থাকত মজবুত। এই দুই তেল, দই আর ভেষজ সুগন্ধির নির্যাসে বিশেষ একটি তেলের সন্ধান দিয়েছেন তিনি। যে তেলের নাম হল- বিষ। এই তেল ব্যবহার করলে ৭ দিনের মধ্যেই কমবে চুলপড়া। এছাড়াএ আরও কিছু টোটকা দিয়েছেন তিনি-
১.দুই হাতের নখ একসঙ্গে ১০ মিনিট ঘষলেও সেখান থেকে সমস্যার সমাধান হয় খানিকটা।
২.যদি হৃদরোগ আর উচ্চরক্তচাপের সমস্যা না থাকে তাহলে ২-৫ মিনিটের জন্য সর্বাঙ্গাসন করা যেতে পারে। চুলের জন্য খুব ভাল এই আসন।
৩.আমলকীর রস, আমলকীর গুঁড়ো, আর ডবনপ্রাশ রোজ একসঙ্গে খেতে পারলেও ভাল। এতে চুলের বৃদ্ধি ভাল হয়।
৪.নিয়মিত ভাবে আমলার জুস খেলেও চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় অল্প দিনের মধ্যেই।
৫.শ্যাম্পু করার আগের দিন মাথায় ভাল করে তেল মালিশ করুন। এরপর বাটার মিল্ক দিয়ে মাথা ধুয়ে নিয়ে তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এতে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা মিটে যাবে যাবে অল্প দিনেই।
৬.যাদের খুশকির সমস্যা রয়েছে তাঁরা বাটার মিল্কের সঙ্গে মুলতানি মাটি, সামান্য নারকেল তেল আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে লাগান। উপকার পাবেন, পাশাপাশি চুলও সিল্কি হবে।
সেই সঙ্গে ডায়েটে যে খাবারগুলি অবশ্যই রাখবেন-
*পুষ্টিকর খাবার, সবুজ শাক-সবজি বেশি করে খাবেন।
*ভাজা, মশলাদার খাবার থেকে দূরে থাকুন।
*অতিরিক্ত রাগ, চিন্তা কমিয়ে ফেলতে হবে। রাগ বেশি হলেই চুল বেশি পড়ে।
*যোগাসনের মাধ্যমে মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।