বিগত কয়েকদিনে শহরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু দূষণ কমেনি। আর শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও কিন্তু রয়েছে। শীতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল শুষ্ক ত্বক। শীতকাল এলেই ত্বকের যাবতীয় সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। র্যাশ, চুলকানি, গায়ে খড়ি ফোঁটার মতো সমস্যা দেখা দেয়। বছরের অন্যান্য সময় এত বেশি ত্বকের সমস্যা দেখা যায় না। সাধারণত এই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাজারচলতি বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজারের উপর ভরসা রাখেন বেশিরভাগ মানুষ। আবার কেউ কেউ ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে ভালবাসেন। কিন্তু তাতেও যে ভাল ফল পাওয়া যায়, তেমন নয়।
দিনের শুরুতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে তা সারাদিন স্থায়ী হয় না। দিনের মধ্যভাগে এসে ত্বকের উপর নখ দিয়ে আঁচড় কাটলে সাদা দাগ পড়ে যায়। আবার একদিন বডি লোশন ব্যবহার না করলে ত্বক ফাটতে শুরু করে। এমনকী স্নান সেরে বেরোলেই ত্বকে টান ধরে। তখনই বোঝা যায়, ত্বকের কতটা বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন রয়েছে।
শীতে গরম জল ছাড়া স্নান করা যায় না। এই গরম জলের অভ্যাস কিন্তু শুষ্ক ত্বকের জন্য দায়ী। গরম জলে স্নান করলে এটি আপনার ত্বকের যে প্রাকৃতিক তেল থাকে, তা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে চামড়ায় টান পড়ে, খড়ি ফুটে ওঠে। কিন্তু আপনার শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করার উপায় লুকিয়ে রয়েছে স্নানের জলেই। কীভাবে ভাবছেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক…
প্রথমত, খুব গরম জলে স্নান করবেন না। গরম জলের সঙ্গে ঠান্ডা জল মিশিয়ে নিয়ে স্নান করুন। গরম জলের পরিমাণ কম রাখুন। পাশাপাশি স্নানের জলে মিশিয়ে নিন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং বাদাম তেল। এই সব তেলের বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি। সবচেয়ে ভাল বিষয় হয়, এই তেলগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দারুণ উপযোগী।
অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং বাদাম তেল—এই তিনটে তেলই ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এই পুষ্টি ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে এই ভিটামিন। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে এই ভিটামিন। স্নানের জলে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল কিংবা বাদাম তেলের কয়েকফোঁটা মিশিয়ে দিলেই কাজ হবে। দেখবেন, স্নানের শেষে চামড়ায় আর টান লাগছে না।
এছাড়া আপনি এই তিনটি তেলকে বডি অয়েল হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন স্নানের আগে সারা গায়ে নারকেল তেল মেখে নিতে পারেন। কিংবা স্নানের পর গায়ে অলিভ অয়েল মাখতে পারেন। এই উপায়েও আপনি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারেন। এতে আপনাকে দিনে বারবার করে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে না।