রবিবার ছুটির পর সোমবারের মতো বিরক্তিকর আর কী হতে পারে! কিন্তু এর থেকে আরও বিরক্তিকর হল ব্রণ। চিকিত্সায় ব্রণ সম্পর্কে প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে বলা হয়ে, কোনও অবস্থাতেই যেন সেই ব্রণ না খোঁটা হয়। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা মুখের মধ্যে গজিয়ে ওঠা ব্রণ নিয়ে অস্বস্তিতে সেটিতে বারবার হাত দিয়ে ফেলেন। তাতে ব্রণ কাঁচা অবস্থাতেই উপড়ে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে এই ধৈর্যই বা কতজনের রয়েছে?
ব্রণ-মুক্ত ত্বক পেতে দিনে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এছাড়া ব্রণকে বেশি স্পর্শ না করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত ব্রণ পপ করা বা খুঁটে ফেলাই তা নয় ভিতরের ময়লা বের করারও প্রলোভন হাতছাড়া করতে পারেন না অনেকে। এর ফলে মুখের মধ্যে তীব্র জ্বালা ধরা অনুভব হয়। খুঁটে ফেলা ব্রণ লালবর্ণ হয়ে সেখানে একটি দাগ তৈরি হয়ে যায়। এমনটা কি আপনি চান?
তবে চিন্তা করার কিছু নেই। এর সমাধানও রয়েছে। ব্রণর জ্বালাভাব কমাতে ও ব্রণর প্রবণতা হ্রাস করতে একটি গ্রিন টি ব্যাগের ভূমিকা অনবদ্য। প্রথমে গ্রিন টি ব্যাগটি দিয়ে গরম চা বানিয়ে নিন। তারপর টি ব্যাগটি ঠান্ডা হলে ফ্রিজের মধ্যে ২-৩ মিনিট রেখে দিন। বেশ ঠান্ডা হলে সেটি ব্রণের জায়গায় দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
ব্রণের জ্বালা কমাতে গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করবেন কীভাবে
ঠান্ডা গ্রিন টি ব্যাগ ব্রণের জ্বালাভাব কমাতে ব্যবহার করুন। সরাসরি ব্রণের জায়গাতে লাগাতে পারেন। প্রায় ১০-১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন।
গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়া অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও ত্বকের জন্য এটি রিফ্রেশিংও বটে।
– ১০-১৫ মিনিট পর আপনি গ্রিনটি ব্যাগ সরিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।
– লালচে ভাব কমাতে দিনে দুবার এটি ব্যবহার করুন। তবে ৪-৫ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রিন টি ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, বাড়িতে যদি গ্রিন টি ব্যাগ না থাকে তাহলে কোনও অ্যান্টি-বায়োটিক মলম লাগাতে পারেন। যদি সেটিও না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র টি অয়েল জলে মিশিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন বা সংক্রামিত স্থানে প্রয়োগ করতে পারেন।
হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলার পর অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন। এছাড়া ব্রণের জায়গায় হাইড্রোকোলয়েড ব্যান্ডেজ ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Trending Nail Colors: এই মরসুমের ট্রেন্ডিং নেল কালার কোনগুলি, দেখুন ছবিতে