
পারদ ধীরে ধীরে নামছে। তার সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতাও কমে গিয়েছে। এই ঋতু ত্বক ও চুলের জন্যও বেশ কষ্টকর। প্যাচেপ্যাচে গরম থেকে মুক্তি মিললেও শীতকাল এলেই ত্বক শুকিয়ে যায়, উড়ো চুলের সমস্যা বাড়ে। এই অবস্থায় চুল ও ত্বকের যত্ন নিতে পারে তেল। শীতের দিনগুলোতে ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করতে তেলকে বেছে নিন। এমন অনেক তেল রয়েছে, ত্বক ও চুল উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। কোন-কোন তেল ত্বক ও চুলের দেখভাল করতে পারে, রইল টিপস।
জোজোবা অয়েল: জোজোবা তেল ত্বকের উপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে। এটি ত্বকের উপর সিবাম উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এছাড়া জোজোবা অয়েলে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোমকূপের মুখ বন্ধ না করেই ত্বককে হাইড্রেট রাখে।
অর্গান অয়েল: অর্গান অয়েল ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই-তে পরিপূর্ণ। এই তেল ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শীতকালে অর্গান অয়েল ব্যবহারে ত্বকের কোনও ক্ষয় হয় না। অর্গান অয়েল ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যও উপকারী। এই তেল চুলকেও পুষ্টি জোগায় এবং কন্ডিশনিং করে। অর্গান অয়েল ব্যবহারে চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরে আসে। ফ্রিজি হেয়ার ও স্প্লিট এন্ডের সমস্যা দূর করে এই তেল।
আমন্ড অয়েল: আমন্ড অয়েল ভিটামিন ই-তে ভরপুর। এই তেল শুষ্ক ত্বকের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে। পাশাপাশি ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়। নিয়মিত আমন্ড অয়েল ব্যবহার করলে ত্বকের টোন ও টেক্সচার উন্নত হয়।
অলিভ অয়েল: ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের সমস্যা কমায়। এই তেল চুলে মাখলেও গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়ার সমস্যা কমে। পাশাপাশি চুল হয়ে ওঠে নরম ও কোমল।
নারকেল তেল: নারকেল তেলের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের উপর একটি আস্তরণ তৈরি করে, যা ত্বকের ময়েশ্চারকে বজায় রাখে। এই তেল শুষ্ক ত্বকের জন্য দারুণ উপযোগী। শীতকালে নারকেল তেল ছাড়া চুলের দেখভাল করা বোকামি। নারকেল তেল চুলকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চুল পড়া কমায়। এই তেল চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করলে উড়ো চুলকে বশ মানানো সহজ হয়।