
যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে চুল পড়ার (Hair Fall) সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও অন্যান্য কারণে বাড়ছে চুল পড়ার সমস্যা। যেটুকু চুল অবশিষ্ট রয়েছে তাও বাঁচিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সাধের চুল বাঁচাতে পার্লারে (Parlour) গিয়ে পয়সা খসিয়ে এক গাদা হেয়ার ট্রিটমেন্ট করিয়েও কাজ হচ্ছে না তো? নজরটা ঘোরান এবার অন্যদিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেশ কিছু বীজ (Seeds) রয়েছে যা চুলের জন্য ভীষণ উপকারি। এই সব বীজের গুণে চুল হবে লম্বা ও সুন্দর। জানুন ব্যবহার।
তিল বীজ:
তিলে রয়েছে ভিটামিন সি ও ফ্যাটি অ্য়াসিড। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ভাল। চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে এই উপাদান। এছাড়া তিলের তেল স্ক্যাল্পে মালিশ করলে দূর হয় চুলের রুক্ষতা। চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এই তিল।
কুমড়োর বীজ:
কুমড়োর স্বাস্থ্যের জন্য় ভীষণই ভাল। তবে শুধু কুমড়োই নয়, কুমড়ো বীজেরও গুণ অনেক। এই বীজে রয়েছে একাধিক মিনারেল। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম ও কপার রয়েছে। যা চুল ঘন করতে সাহায্য করে। যদি আপানার চুল খুবন পাতলা হয় তবে ব্যবহার করুন কুমড়োর বীজের তেল। নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ফিরবে সহজেই।
মেথি:
শরীরের জন্য মেথির গুণ অনেক। অনেকেই সকালে উঠে মেথি ভেজানো জল খান। মেথি শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশমিয়াম, নিয়াসিন ও প্রোটিন যা চুল পড়াকে রুখে দেয়। এছাড়া চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে মেথি। রাতে মেথির তেল গোটা স্ক্যাল্পে ভাল করে মালিশ করে সকালে শ্য়াম্পু করে ফেলুন। ফল পাবেন।
ফ্ল্যাক্সসিড:
তিসির বীজকেই বলা হয় ফ্ল্যাক্সসিড। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্য়াসিড, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর এই বীজ চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস চুলের ফলিকলের যত্ন নেয়। এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
সূর্যমুখীর বীজ:
সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য় করার পাশাপাশি চুলের রুক্ষতা মেটায়। চুল পড়াকে একেবারে রুখে দেয় এই বীজের তেল। সূর্যমুখীর বীজ ফুটিয়ে সেই তেল স্ক্যাল্পে ভাল কলে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করে নিন। উপকার পাবেন।