
রাতারাতি ব্রণ কমানোর কোনও টোটকা নেই। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি ব্রণর ব্যথা, জ্বালাভাব নিয়ে কষ্ট থাকেন, তাহলে সেই সমস্যা কমানোর উপায় রয়েছে। এর জন্য কোনও ফেসপ্যাক বা ফেসমিস্টের দরকার নেই। এমনকী দরকার নেই কোনও ওষুধ বা ক্রিমের। শুধু ব্রণর উপর বরফ চেপে ধরুন। ত্বকের উপর বরফ লাগানোর হাজারো উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, এটি ব্রণর প্রদাহ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ব্রণর ব্যথা ও জ্বালাভাব থেকে সাময়িক আরাম দিতে সাহায্য করে বরফ। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে, বরফ ব্রণকে সারিয়ে তোলে না কিংবা প্রতিরোধ করে না।
বরফ ব্রণর ব্যথা কমায়-
ব্রণ শুধু যে ত্বকের সৌন্দর্য কেড়ে নেয়, তা নয়। বরং, এটি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। অনেক সময় এমন ব্রণ হয় যে, মুখ লাল হয়ে যায়, ব্যথা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্রণর আশেপাশের জায়গায় চুলকানি হতে থাকে। কিন্তু ব্যথা এতটাই বেশি হয় যে, মুখে হাত দেওয়া যায় না। এই অবস্থায় মুখের উপর বরফ ঘষতে পারেন। বরফ আপনার ত্বককে তাৎক্ষণিক ভাবে অসাড় করে দেয় এবং রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দেয়। বরফ আপনাকে ত্বকের প্রদাহ, ব্যথা ও জ্বালাভাব থেকে তাৎক্ষণিক আরাম দেয়।
ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে-
ব্রণর হওয়ার অন্যতম কারণ হল ওপেন পোরস। ওপেন পোরসের কারণে মরা কোষ ও ময়লা জমতে থাকে। সেখানে থাকে ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াও। কিন্তু ওপেন পোরসের উপর বরফ ঘষলে রোমকূপ পরিষ্কার হয়ে যায় এবং রোমকূপের মুখ বুঝে যায়। এতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তবে, যে সব ব্রণ প্রদাহ তৈরি করে না তার উপর বরফ কার্যকরী নয়। এমনকী ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের দূর করতেও কার্যকর নয় বরফ।
ব্রণ উপর যেভাবে বরফ লাগাবেন-
একটি সুতির কাপড়ের মধ্যে বরফ মুড়ে নিন। এবার বরফ সমেত ওই কাপড়টা ব্রণর উপর চেপে ধরুন। ৩০ সেকেন্ড মতো চেপে রাখুন। তারপর সরিয়ে নিন। এভাবে ৫ মিনিট ব্রণর বরফ চেপে ধরতে পারেন।
তবে এটা জেনে রাখা দরকার যে, বরফ ব্রণর সমস্যা দূর করে না। বরং ব্রণর ব্যথা, প্রদাহ ও জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, ব্রণ দূর করতে বরফ ঘষলে চলবে না। যদিও মুখের উপর বরফ ঘষলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং এর জেরে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।