
ত্বক পরিচর্চার দিক দিয়ে সবসময় এগিয়ে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বককে হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ত্বকের উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যায় অ্যালোভেরা জেল। এমনকী অ্যালোভেরার পাতা থেকে নির্যাস বের করে আপনি সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু কখনও অ্যালোভেরার তেল ব্যবহার করে দেখেছেন? ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এবং ত্বক পুনর্গঠনে সাহায্য করে অ্যালোভেরার তেল। তবে, অ্যালোভেরার তেল কেনার প্রয়োজন নেই। অ্যালোভেরা জেল থাকলে আপনি নিজেই বানাতে পারবেন অ্যালোভেরা তেল।
অ্যালোভেরার তেলের উপকারিতা-
দাগছোপ কমায়- অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যালোসিনের একটি যৌগ রয়েছে। এটি স্কিন টোন উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি মেলানিন উৎপাদনে বাধা দেয়। এতে ত্বকের বর্ণ স্বাভাবিক থাকে। পাশাপাশি ইউভি রশ্মির কারণে দাগছোপ, ট্যানের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। এক্ষেত্রে নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল বা অ্যালোভেরার তেল মিশিয়ে মাখতে পারেন।
মশার কামড় থেকে বাঁচায়- মশার কামড় থেকে বাঁচতে আপনি অ্যালোভেরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়াকে প্রতিরোধ করতে কাজে লাগাতে পারেন অ্যালোভেরার তেল। এই তেল ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে। অলিভ অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরার তেল মিশিয়ে হাত-পায়ে মাখুন। এছাড়া আপনি অলিভ অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়েও মাখতে পারেন।
ব্রণর সমস্যা দূর করে- ব্রণর সমস্যা থেকেও দূরে রাখে অ্যালোভেরা তেল। অ্যালোভেরার তেলের মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যা থেকে ত্বককে প্রতিরোধ করে। ২-৫ দিন অ্যালোভেরা তেল ব্যবহার করলে ব্রণর সমস্যা ৫০% কমে যাবে। ব্রণর হাত থেকে বাঁচতে টি ট্রি অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাখতে পারেন। এতে এগজিমার সমস্যাও কমবে।
চুলের খেয়াল রাখে- চুলের সমস্যা রুখতেও অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। শুষ্ক স্ক্যাল্প, রুখো-উস্কো চুল, চুল পড়ার মতো সমস্যা এড়াতে অ্যালোভেরার তেল বানিয়ে ব্যবহার করুন। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়েল ও আমন্ড অয়েলের সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। এই হেয়ার অয়েল বানিয়ে রাখতে পারেন। এই হেয়ার অয়েল স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। এটি আপনার স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজড করবে এবং খুশকির সমস্যা কমাবে। পাশাপাশি চুলকে দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।