দাদ খুবই ছোঁয়াচে একটি রোগ। বাড়িতে একজনের হলে সেখান থেকে অন্য কারোর হওয়ার আশঙ্কাও থাকে অনেককানি। অপরিষ্কার থাকা, একটানা ঘেমো জামাকাপড় পড়ে থাকা, ঠিক মতো স্নান না করলে সেখান থেকে হতে পারে দাদের সমস্যা। যদি স্নানের পর গায়ে সাবানের ফেনা লেগে থাকে সেখান থেকেও হতে পারে ইনফেকশন। এখন অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সমস্যা একটাই। তা হল সকলেই নিজের ডাক্তারি নিজে করতে চান। কোনও রকম সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ওষুধ না এনে নিজের মত করে ওষুধ খান। এতে সাময়িক ভাবে সমস্যা মিটে গেলেও পরবর্তীতে সেখান থেকে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ওষুধ দোকান থেকে কেনা মলমে সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়। এর মধ্যে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকে যে কারণে সমল্যার দ্রুত সমাধান হয়। ফাঙ্গাল ইনফেকশন ঘরে ঘরে বেড়ে যাচ্ছে তার অন্যতম কারণ এটাই। কারণ, এই ইনফেকশন শরীরে ঢুকে গিয়ে শরীরের নানা ক্ষতি করে থাকে। ত্বক ফেটে যায়। অনেক সময় রক্ত মিশে গিয়ে থাকে।
তাই এমন সমস্যা হলে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে যান। এছাড়াও বাড়িতে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে হবে।
মধু- মধু ছত্রাকের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে সহায়তা করে। কারণ, মধুতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও ছত্রাক-নাশক উপাদান আছে। পরিষ্কার তুলায় মধু লাগিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন যাতে সম্পূর্ণ দাদের স্থানটি ঢাকা পরে। দাদ দূর হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এটি ব্যবহার করতে করুন
অ্যালোভেরা জেল- ছত্রাকের সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরাতে রেজিন থাকে বলে তা দাদের চুলকানি, যন্ত্রণা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রেজিন দাদের চুলকানি, যন্ত্রণা ও অন্যান্য উপসর্গ দ্রুত কমাতে পারে। অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান। দাদ দূর হওয়া পর্যন্ত দিনে কয়েকবার অ্যালোভেরা জেল লাগান। উপকার পাবেন।
রসুন- রসুনে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি সব উপাদান রয়েছে। দাদের সমস্যা দূর করতেও রসুন খুবই কার্যকরী। রসুনের ছত্রাকরোধী উপাদান অ্যাজোইন বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে পারে। ১-২ কোয়া রসুন ভাল করে থেঁতলে নিন। এর সঙ্গে ৩ টেবিলচামচ মধু ও ৩ টেবিলচামচ অলিভ অয়েল মেশান। এই মিশ্রণটি ত্বকের দাদে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তার পর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অন্তত ২ সপ্তাহ দিনে ২-৩ বার মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।