ত্বক ও চুলের জন্য জবা ফুলে রয়েছে হাজারো গুণ! কোন কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, জানুন

হাইড্রক্সি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই চমত্‍কার ফুল ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক...

ত্বক ও চুলের জন্য জবা ফুলে রয়েছে হাজারো গুণ! কোন কোন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, জানুন
জবা ফুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2021 | 9:41 AM

জবা ফুল অত্যন্ত পরিচিত একটি ফুল। বিভিন্ন রঙের এই ফুল যে বাড়ির বাগানে, কিংবা বনাঞ্চলেও দেখা যায়। উজ্জ্বল, রঙিন ও বড় মাপের এই ফুল ও পাতা ত্বক ও চুলের যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য মোক্ষম দাওয়াই। জবা ফুল যে ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী তা অনেকেরই জানা। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, জবা ফুল দেবী কালীকে প্রদান করা হয়। আদিম শক্তির প্রকাশ, ক্ষমতায়ন ও ধ্বংসের প্রতীক হলেন কালী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুলটি দেবীর জিভ ও রক্তের প্রতি লালসার এক ভয়ংকর রূপের প্রতিনিধিত্ব করে। তবে বাগানে অনেকেই বিভিন্ন রঙের জবা ফুল লাগিয়ে চর্চা করেন। হাইড্রক্সি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই চমত্‍কার ফুল ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক…

চুলের জন্য জবা ফুলের গুরুত্ব

– জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যামিনো অ্যাসিড কেরাটিন তৈরি করতে সক্ষম, তাই চুলকে মজবুত করতে ও চুলে ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে দূর করতে সহায়তা করে।

– জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণ শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ থাকে, যা প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ কাজ করে। চুলের জেল্লা ফেরাতে ও সিল্কিভাব আনতে শ্যাম্পুর পর এই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে জবা ফুল ও পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কোনও রকম রাসায়নিক ছাড়াই চুল মসৃণ ও চকচকে করতে এই ম্যাজিক ফুলের জুড়ি নেই।

– অ্যালোপিয়াতে আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাদের জন্য এই ফুল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরে অতিরিক্ত তাপের কারণ চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৬-৮টি জবা ফুল ও পাতা পিষে মাথার ত্বকের লাগিয়ে ৩ ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি থেকে কয়েকদিন পরই চুল গজাতে দেখা যাবে। এছাড়া চুলের বৃদ্ধির জন্যও এই পেস্ট দারুণ কার্যকরী।

ত্বকের জন্য

– জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বককে দূষণ, ধুলো, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেতে রক্ষা করে। অকাল বার্ধক্যের প্রবণতা রোধ করতেও জবা ফুলের বিকল্প নেই।

– এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরির গুণ, যা ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত প্রতিষেধকও বটে।

– এতে সামান্য পরিমাণ হালকা অ্যাসিড থাকে, যা ত্বককে এক্সফ্লোয়েট করতে সাহায্য করে। বলিরেখা দূর করতে ও ত্বককে সতেজ করে তুলতে সহায়তা করে। ত্বকে লাবণ্য ও তারুণ্যের ছোঁয়া আনতেও জবা ফুল ও পাতা ব্যবহার অনস্বীকার্য।

জবাফুল ও পাতা চা হিসেবে পান করলে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরে আসে। প্রাচীনকালে মিশরীয়রা জবা ফুলের চা ব্যবহার করতেন। শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে ও হার্ট-স্নায়ুর রোগের মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার করা হত।

আরও পড়ুন: Homemade Face Pack: শুষ্ক ত্বকে হাসি ফোটাতে পেঁপের খোসা ও মালাইয়ের ফেসপ্যাকই যথেষ্ট!