ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই ফেসিয়াল করান। কেউ কেউ বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানের আগেই শুধু ফেসিয়াল করান। আবার কেউ কেউ ছ’মাসে একবার দ্বারস্থ হন পার্লারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, যদি ফেসিয়াল করানোর হয় তাহলে তা ১৫ দিন অন্তর অন্তর করানো উচিত। অর্থাৎ, নিখুঁত ত্বক পেতে হলে আপনাকে মাসে দু’বার ফেসিয়াল করাতে হবে। তবে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
প্রতিদিন সেই অর্থে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় আমরা কেউই পাই না। ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে বেশিরভাগ মহিলার রূপচর্চা। সেখানে ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল করালে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এটি আপনার ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা মৃত কোষ, ওপেন পোরস, অতিরিক্ত তেল, ধুলো-বালি, ময়লা ইত্যাদি দূর করে দেয়। তাছাড়া মাসে দু’বার ফেসিয়াল করালে ত্বকের রোমকূপগুলোও খুলে যায়। এতে ত্বক অক্সিজেন পায়। এতে ত্বক তরুণ দেখায়।
যাঁদের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের সমস্যা বেশি থাকে, তাঁদের ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল করানো উচিত। এতে ত্বকের এই সব সমস্যা দূর হয়ে যায়। ফেসিয়ালের মাধ্যমে ত্বক এক্সফোলিয়েট করা হয়। এতে ত্বকের শুষ্কভাব, রুক্ষতা দূর হয়ে যায়। পাশাপাশি ফেসিয়ালের সময় হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করা হয়। এটি আপনার ত্বককে আর্দ্রতা ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে।
ফেসিয়াল হল একটি স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট। এর মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে ফেসিয়াল করা হয়। ফেসিয়ালের প্রথম ধাপ হল ক্লিনজিং। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে এক্সফোলিয়েশন। এরপর একটি ফেসমাস্ক ব্যবহার করা হয় ট্যান দূর করার জন্য। এটি মুখে ১০-১৫ মিনিট রাখে। ফেসিয়ালের চতুর্থ ধাপে বিশেষ ক্রিম দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করা হয়। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এরপর মুখ পরিষ্কার করে হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করা হয়। এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখা হয়। মুখ পরিষ্কার করে শেষে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে হয়।
ফেসিয়াল করানোর জন্য পার্লারের দ্বারস্থ হন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু ১৫ দিন অন্তর অন্তর ফেসিয়ালের জন্য টাকা খরচ করাও অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতেও ফেসিয়াল করতে পারেন। বাজারচলতি ফেসিয়াল কিটের উপর ভরসা রাখতে পারেন। শুধু আপনাকে ফেস ম্যাসাজের টেকনিকগুলো জানতে হবে। তবে, এটাও ঠিক যে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করানোর যে আরাম, তা আপনি বাড়িতে নিজে হাতে করে পাবেন না।