
বাচ্চাদের ছোট্ট মিষ্টি তুলতুলে গাল সকলেরই পছন্দের। আর তাই সিসুদের গাল চটকে দিতে অধিকাংশ মানুষই খুব ভালবাসেন। যদিও এই অভ্যাস খুবই খারাপ। এখান থেকে বাচ্চাদের একাধিক ত্বকের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু শিশুদের মত নরম কোমল ত্বক কে আর না চায়! বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও পরিবর্তন আসে। তবুও ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখা যায় সহজেই। সামান্য এই কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলেই ত্বক হবে মাখনের মত নরম। আর এর জন্য রোজ নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারেন বেবি অয়েল। শুনেই অবাক লাগছে ? আসলে বেবি অয়েলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের ত্বককে রাখে নরম। এই তেলের মধ্যে থাকে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, অ্যালো ভেরা, মধু আর বিভিন্ন খনিজ। যার ফলে ত্বক থাকে সতেজ। কোনও রকম অ্যালার্জির সমস্যাও আসে না। ত্বক থাকে চটচকে, সহজে বুড়িয়ে যায় না।
এমনকী শীতে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে এই বেবি অয়েল। মুখ ধুয়ে বা স্নানের পর শরীরে বেবি অয়েল মাখুন। তাতে তেল শরীরে তাড়াতাড়ি শুষে যাবে, বাড়তি জেল্লাও পাবেন ত্বকে। সারা শীতকাল এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কতার হাত থেকেও রক্ষা পাবে।
মেকআপ তুলতে চান? এক্ষেত্রেও কাজে লাগান বেবি অয়েল। ক্লেনজারের থেকে এতে অনেক কম সময় লাগে। মেকআপের প্রতি রণা উঠে আসে। ফলে মুখ থাকে পরিষ্কার। কাজলের শেষ অংশ তুলে ফেলতে এই বেবি অয়েলের জুড়ি মেলা ভার।
বেবি অয়েলের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের সমস্ত ক্ষতি মেরামত করে সহজেই। তাই ফাটা গোড়ালির সহজ সমাধান খুঁজতে হলে ভরসা রাখতে হবে সেই বেবি অয়েলেই!। এই তেল হালকা করে গরম করে নিন, তারপর গোড়ালির ফাটা অংশে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এর আগে গরম জল আর সাবানে পা ঘষে বাকি চামড়া, মরা কোষ তুলে ফেলুন। অএর পর বেবি অয়্ল লাগালে সবচাইতে ভাল। এরপর সারারাত পায়ে মোজা পরে থাকুন। তাহলে আর গোড়ালিতে ফাটা দাগ থাকবে না। পা থাকবে নরম।
নখের কোণা থেকে চামড়া উঠছে? কিংবা নখের চামজ়া টেনে তোলা আপনার অভ্যাস? এক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে পারেন বেবি অয়েল। নখের পাশে এই তেল লাগাতে পারলে চামড়া নরম থাকে। সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে না।