প্রতি বছর পয়লা জুন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস (World Milk Day) হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্যই হল দুধ শিল্প ও দুধের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিশ্ব দুধ দিবস উদযাপনের জন্য বিভিন্ন দেশ একই দিন বেছে নেয়। দুধ (Drinking Milk) শুধু পান করা নয়, ত্বকের স্বাস্থ্যের (Skin Care) জন্যও ব্যবহার করা হয়। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধিতে ও সুস্থতার জন্য দুধের মত উপকারী খুব কমই রয়েছে। দুধের সর, কাঁচা দুধ, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ, সবই রূপচর্চায় (Beauty Care) ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বককে মোলায়েম করতে, বলিরেখা দূর করতে ও গরমে রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের জন্য দুধের বিকল্প কিছু নেই। দুধকে যদি প্রতিদিন ত্বকের যত্নের রুটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বেছে নেন, তাহলে কী কী উপকার পেতে পারেন, তা এখানে একঝলকে জেনে নিন…
ব্রণর চিকিত্সা জন্য
দুধ শুধু পান করা নয়, ত্বকেও ব্যবহার করুন। তাই দুধ ব্যবহার করলে ব্রণ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। এর কারণ হল, ফোর্টিফাইড দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে৷ দুধের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কাঁচা দুধ ত্বকে লাগালে অ্যাকনে কমে যাবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্লিনজার হিসেবে দারুন কাজ করে দুধ। ত্বকে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল ও ধুলোবালি পরিষ্কার করে দুধ। তবে অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে,ব্রণের জন্য দুধ সঠিক উপকরণ নয়। তাই চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া ব্রণের উপর দুধ ব্যবহার করবেন না।
সানবার্নের জন্য
গরমকালে বেশি সময় রোদে থাকলে সূর্যের অতিরিক্ত অতি বেগুনি রশ্মি ত্বক কালো ছাপ ফেলতে পারে। রোদে পোড়া দাগ ও ছোপ হঠাতে দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ওয়াশক্লোথের সঙ্গে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করলে সানবার্নে কালো ছোপ মুছে ফেলা অনেক সহজ হয়ে যায়। বহুযুগ ধরেই রোদে পোড়া দাগের জন্য এই ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে আসছে মানুষ। তবে রোদে পোড়ার চিকিৎসা হিসেবে দুধ ব্যবহার করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের এই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এক্সফোলিয়েটিং উপাদান
প্রাকৃতিক অ্যাসিডিটি ও ল্যাকটিক অ্যাসিড সামগ্রীর কারণে দুধে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের মৃত ত্বকের কোষগুলিকে পরিষ্কার করে ডবল ক্লিনিজিংয়ের কাজ করে।
ময়শ্চারাইজিং
দুধ সবথেকে ভালো প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার। শীতকালের রুক্ষ দিনে ত্বক নরম রাখতে ফেসপ্যাকে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশিয়ে নিন। ত্বকের শুষ্কভাব নিমেষেই গায়েব হয়ে যাবে। শুধু শীতকালেই নয়, গরমে ত্বককে নরম ও মোলায়েম রাখতেও দুধ ব্যবহার করা হয়। দুধে বায়োটিন এবং অন্যান্য ময়শ্চারাইজিং উপাদান শুষ্ক, ফাটা, শুকিয়ে যাওয়া এবং ফ্ল্যাকি ত্বককে পুষ্ট করে। ত্বকের গভীরে গিয়ে ভিতর থেকে কন্ডিশনড ও ময়েশ্চারাইজড করার ক্ষমতা রয়েছে দুধের। কোমল ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেস মাস্ক বা ক্লিনজার হিসেবেও দুধ ব্যবহার করতে পারেন। দুধে থাকা ভিটামিন সুস্থ ও তারুণ্য ত্বক বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বলিরেখা দূর করতে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুধের ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন। দুধে থাকা ভিটামিন ডি-এর অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য দুধের যে কোনও সমস্যার সমাধান করে। সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে, ত্বকের অকাল বার্ধক্য দূর করতে ও বলিরেখার প্রবণতা হঠাতে প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিনে দুধকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকার কারণে মসৃণ এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন অনায়াসে।