আন্দোলন প্রতিবাদের মধ্যেও জারি রয়েছে আরেক লড়াই। তা হল রোগা হওয়ার লড়াই। প্রতিনিয়ত এই লড়াই করে চলেছেন অনেকেই। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কড়া ডায়েট, সকালে উঠে শরীরচর্চা ঘড়ি ধরে খাওয়া দাওয়া আর কত কী!
ওজন ঝরাতে কিন্তু সব সময় যে নিজের খাওয়া দাওয়াকে বিসর্জন দিতে হবে এমন কোনও কথা নেই। খাওয়া দাওয়ায় লাগাম টানলেও স্বাদকোরককে যে বন্ধ রাখতে হবে এমন কোনও কথা নেই। তা ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কিন্তু দইয়ের জবাব নেই। আআব্র জলখাবার হোক বা দুপুরের খাবার, এই দই কিন্তু মানানসই সব জায়গাতেই। আর সেই দই দিয়েই যদি টুক করে বানিয়ে নেন রায়তা তাহলে তো কথাই নেই। খেতেও যেমন ভাল, তেমনই উপকারী। জানেন এই রায়তা খেলে কেবল ওজনই কমে এমনটা নয়। রয়েছে আরও ৩ উপকার।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে – রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য টক দই মহৌষধি। চিকিৎসকেরাও টক দই খেতে বলেন। রক্তচাপের মাত্রা কমাতে রোজ খাওয়ার সময় এক বাটি রায়তা খেতেই পারেন।
হজমের গোলমাল কমায় – টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান। এই উপাদান পেটের খেয়াল রাখতে সত্যিই দারুণ উপকারী। টক দইয়ে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হজমের গোলমাল দূরে রাখে। এ ছাড়া, একটা কথা। রায়তায় ভাজা জিরেগুঁড়ো মেশানো হয়, তা-ও গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে – বয়স বাড়লেই অনেকে বাতের ব্যথায় ভোগেন। অনেকের আবার বয়সের আগেই শুরু হয় বাতের যন্ত্রণা। এই সমস্যা ঠেকাতেও রোজ খাওয়ার সময় রায়তা খেতে পারেন। দইয়ে থাকা ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং অন্যান্য জরুরি খনিজ উপাদান হাড় মজবুত করে, হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।