আদা (Benefits Of Eating Ginger)। দিনভর আপনি যে সব পদ খাচ্ছেন, তাতে উপকরণ হিসেবে কখনও না কখনও তো আদা থাকেই। আদার বহু গুণ। বিভিন্ন ভাবে শরীরে উপকারে লাগে। হবু মায়েদের জন্যও আদা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। প্রেগন্যান্সি (Pregnancy) পিরিয়ডে আদার মাধ্যমেই কিছু সমস্যার ঘরোয়া সমাধান সম্ভব। যদিও কিছু সাইড এফেক্ট রয়েছ। তাই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভাল।
মর্নিং সিকনেস
প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে মর্নিং সিকনেস খুব সাধারণ বিষয়। এর থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে আদা। সকালে এক টুকরো কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। আবার আদা দেওয়া চা-ও খেতে পারেন। এতে পেটও পরিষ্কার থাকে।
কোলেস্টোরল
শরীরে কোলেস্টোরলের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। বিশেষত প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে আদা।
আরও পড়ুন, বেশি বয়সে মাতৃত্ব কতটা ঝুঁকির?
ব্লাগ সুগার
হবু মায়েদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ তো অবশ্যই নেবেন। কিন্তু একটুকরো আদাা এক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে।
হজমশক্তি বাড়ায়
আদা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সন্তান আগমনের খবর পেলেই ডায়েট বদলে ফেলতে হবে। পুষ্টিকর খাবার, ফল মাস্ট। অ্যানিম্যাল প্রোটিনও জরুরি। এর সঙ্গে জুড়ে নিন আদা। তাহলে হজমে আর কোনও সমস্যা হবে না।
ঠাণ্ডার ওষুধ
এমনিতে ঠাণ্ডা লাগলে দেখবেন, আদা চা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আর প্রেগনন্যান্সির সময় ঠাণ্ডা যাতে না লাগে, তার জন্য আদা খেতেই হবে। আদা কুচি দিয়ে চা বা বিভিন্ন পদে আদা দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আদার সাইড এফেক্ট
১) প্রতিডিনের ডায়েটে কতটা পরিমাণ আদা প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আপনি খেতে পারেন, তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। কারণ পরিমাণে বেশি হয়ে গেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২) অ্যাবরশন বা ভ্যাজাইনাল ব্লিডিংয়ের মতো কোনও মেডিক্যাল হিস্ট্রি থাকলে আদা খাবেন কি না, তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।
৩) মিসক্যারেজের কোনও ইতিহাস থাকলে আদা ডায়েট থেকে বাদ রাখাই ভাল।