AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বেশি বয়সে মাতৃত্ব কতটা ঝুঁকির?

বেশি বয়সে মাতৃত্বের (pregnancy) সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেলেবরাও। কিন্তু এতে কিছু ঝুঁকি তো থেকেই যায়। তাই প্ল্যান (planning) করার আগেই কয়েকটা জিনিস মনে রাখুন।

বেশি বয়সে মাতৃত্ব কতটা ঝুঁকির?
করিনার মতো বেশি বয়সে মা হওয়ার সিদ্ধান্তের আগে পরিকল্পনা করে নিন।
| Updated on: Dec 12, 2020 | 8:59 AM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বেশি বয়সে মাতৃত্ব (late pregnancy) এখন আর নতুন কোনও ঘটনা নয়। ২০-র কোটার শেষের দিকে এবং ৩০-এর শুরুর দিকের সময়টা মা হওয়ার জন্য যে কোনও মেয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ। অন্তত শারীরিক দিক থেকে এই বয়সটাই যে পারফেক্ট সে রায় দেন বেশিরভাগ চিকিৎসক। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করার ঘটনা এখন বিভিন্ন কারণে কম। অন্তত শহুরে জীবনে অভ্যস্ত মেয়েরা বেশিরভাগই পড়াশোনা শেষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতার দিকে মন দিচ্ছেন। উপভোগ করছেন জীবন। বরং একটু থিতু হয়ে বিয়ে বা মাতৃত্বের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা।

কয়েক মাস আগেই দ্বিতীয় মাতৃত্বের ঘোষণা করেছেন করিনা কপূর খান (kareena kapoor khan)। সদ্য পেরিয়ে গেল ৪০ বসন্তের দরজা। আবার প্রায় ৪০-এর গোড়ায় দাঁড়িয়ে প্রথম সন্তানের (child) জন্ম দিলেন কোয়েল মল্লিক। ফলে বেশি বয়সে মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেলেবরাও। কিন্তু এতে কিছু ঝুঁকি তো থেকেই যায়। তাই প্ল্যান (planning) করার আগেই কয়েকটা জিনিস মনে রাখুন। ঝুঁকি কতটা, সেটা জেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। তাহলেই আপনি এবং আপনার সন্তান সুস্থতার দিকে এগিয়ে যাবেন আরও কয়েক ধাপ।

১) বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের ওভারিতে ডিম্বাণুর পরিমাণ কমতে থাকে। কমতে থাকে তার গুণগত মানও। সে কারণেই ৩০ বছর বয়স হওয়ার আগে গড়ে মহিলাদের মাতৃত্বের আদর্শ সময় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। তাই বেশি বয়সে সন্তান ধারণের পরিকল্পনা থাকলে ফার্টিলিটি টেস্ট করিয়ে নিন।

Aishariya Rai Bachchan

৩৭ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন।

২) যদি ৪০-এর আশপাশে দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করেন, তাহলে প্রথম মাতৃত্বের পর কমপক্ষে ১৮-২৩ মাসের ব্যবধান রাখা জরুরি, এমনটাই মনে করেন চিকিৎসকদের বড় অংশ। এই ব্যবধান না থাকলে সন্তানের ওজন কম হওয়া বা প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির সম্ভবনা থাকে।

৩) বেশি বয়সে সন্তান (health risk childbirth) হলে অনেক সময় মিসক্যারেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। মৃত সন্তান প্রসবের সংখ্যাও কম নয়। এছাড়া মায়ের প্রি-একল্যামসিয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও থেকে যায়।

৪) আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্য়ান্ড গায়নোকোলজিস্ট (ACOG)-এর একদল গবেষকের মতে, ৪৫ বছরের পর অধিকাংশ মহিলাই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে মা হতে পারেন না। সেক্ষেত্রে ছ’মাস প্রাকৃতিক ভাবে সন্তান ধারণের চেষ্টা করার পর অসফল হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

বেশি বয়সে মাতৃত্ব অসম্ভব নয়। অন্তত চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন যতটা উন্নত, চেষ্টা করতেই পারেন। কিন্তু আপনাকে অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে। আগাম পরিকল্পনা করুন সব দিক মাথায় রেখেই। অল দ্য বেস্ট।