
নির্ভেজাল চন্দন কাঠ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। ভাল মানের চন্দন পেলেও তার আকাশছোঁয়া দাম। তবু, রূপচর্চায় চন্দন চাই-ই চাই। গন্ধের পাশাপাশি গুণাগুণের জন্য চন্দনের কদর বেশি। আজও ব্রণ তাড়াতে, ত্বককে ফর্সা করে তুলতে চন্দনের সবচেয়ে বেশি উপযোগী। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীতে চন্দনের ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়, যখন চন্দন কাঠ বেটে সরাসরি মুখে লাগানো হয়। ত্বকের কোন কোন সমস্যায় চন্দন ব্যবহার করতে পারেন, জেনে নিন।
তৈলাক্ত ভাব কমাতে: গরমে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা বেড়ে যায়। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পরও তেলতেলে ভাব কমে না। এই সমস্যাকে দূর করতে পারে চন্দন। চন্দন কাঠ গোলাপ জল দিয়ে বেটে নিন। কিংবা ভাল মানের চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেললেই পেয়ে যাবেন তেল-মুক্ত ত্বক।
ব্রণ দূর করে: মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার পাশাপাশি ব্রণর সমস্যা কমাতেও সহায়ক চন্দন। এক চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ব্রণ কমবে।
ট্যান দূর করে: কাঠফাটা রোদে বেরোলে ট্যান পড়তে বাধ্য। গ্রীষ্মকালে কোনওভাবেই ট্যানকে এড়ানো যায় না। তবে, চন্দন বাটা মাখলে ট্যান এড়াতে পারবেন। চন্দন বাটা বা গুঁড়োর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এটি ত্বকে মেখে ৩০ মিনিট বসুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
দাগছোপ দূর করে: চোখের তলায় কালি হোক বা বয়সে জেরে পড়া দাগ, এসব সমস্যা দূর করতে চন্দন দুর্দান্ত কাজ করে। চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে মাখলেই দাগছোপে হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়: এক চামচ চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ বেসন ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই ফেসপ্যাক ত্বকে ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে সহজেই ত্বকে জেল্লা ফিরবে।