
চুল পড়া রোধ করার জন্য আজকাল নানা ধরনের থেরাপি পাওয়া যায়। যার মধ্যে একটি হল হেয়ার বোটক্স। এই প্রক্রিয়ায় মাথার ত্বকে বোটক্স ইনজেকশন দেওয়া হয়। যা রক্ত সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন নামক হরমোনকে কমায়। এই হরমোন চুল পড়া এবং পাতলা হওয়ার জন্য দায়ী।
আবার এক্সোসোমস আরেকটি যা বহুল ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি কোষগুলোকে আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পিআরপি বা প্লেটলেট-রিচ প্লাজমা-তে থাকে গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁরা GFC (Growth Factor Concentrate) থেরাপি করাতে পারেন। এই পদ্ধতিতে গ্রোথ ফ্যাক্টর কনসেনট্রেট রোগীর নিজের রক্ত থেকে ঘন গ্রোথ ফ্যাক্টর বের করে নিয়ে মাথার ত্বকে তা ইনজেক্ট করা হয়। এটি চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং চুল পড়া ও পাতলা হওয়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
এক্সোসোমস MNRF পদ্ধতিটি কী?
মাইক্রোনিডলিং ও রিজেনারেটিভ থেরাপির সমন্বয়। এক্সোসোমস MNRF-এ নিয়ন্ত্রিত রেডিওফ্রিকোয়েন্সি বা ১৫৪০ nm ফ্র্যাকশনাল লেজার (এরবিয়াম গ্লাস) ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়। এক্সোসোমস পদ্ধতিতে ন্যানো আকারের ভেসিকল বা বার্তাবাহক, প্রেরণ করে কোষগুলির মধ্যে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। যার মাধ্যমে গ্রোথ ফ্যাক্টর, কোষ নিয়ন্ত্রণ থেকে টিস্যু মেরামত নানা বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যা সুস্থ নতুন কোষ উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
পলিনিউক্লিওটাইড (স্যালমন ডিএনএ) থেরাপি – মাথার ত্বকের জন্য এই থেরাপি কার্যকর। পলিনিউক্লিওটাইড থেরাপি, যা স্যালমন ডিএনএ নামে পরিচিত, এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ানো যায়, প্রদাহ নিরাময় এবং চুলের গোড়ার চারপাশের ডার্মাল স্ট্রাকচারকে শক্তিশালী করে তোলা যায়। এটি সংবেদনশীল, প্রদাহযুক্ত বা বয়সজনিত ত্বকের জন্য আদর্শ।