
কারও পছন্দ ব্ল্যাক কফি, কারও কাছে আবার চিনি দিয়ে দুধ কফিই সেরা। ডেটে যান বা অফিসে কাজের বিরতিতে, এক কাপ কফিতে চুমুক দিলেই মনটা অনেকের চট করে ফুরফুরে হয়ে যায়। বৃষ্টিমুখর দিনে শুধু মনকে ভালো রাখার জন্য কফি খেলেই হবে না, নিষ্প্রাণ ত্বক এবং চুলের হাল ফেরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী কফি। সঠিক উপায়ে কফি ব্যবহার করতে পারলে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে আর পার্লারে যাওয়ার দরকার পড়বে না। মাথার চুল থেকে পায়ের নখ সব হবে ঝকঝকে। রইল উপায়।
কফিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিম্নে আলোচনা করা হল কীভাবে কফি রূপচর্চায় হতে পারে সুপারহিট।
ত্বক এক্সফোলিয়েশন: ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করতে কফি কাজে লাগে। কফি গুঁড়োর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্রাব বানান। স্নানের সময় এই মিশ্রণটি দিয়ে ত্বকের উপর স্ক্রাব করলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
আন্ডারআই মাস্ক: চোখের তলায় কালি কার ভালো লাগে বলুন তো! কফি ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেল দূর হতে পারে। কফির সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে চোখের তলায় মাখুন। ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। টানা এক সপ্তাহ কফি দিয়ে আন্ডারআই মাস্ক লাগালে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা মিটে যাবে।
ঠোঁটের স্ক্রাব: কফি গুঁড়োতে অল্প মধু মিশিয়ে ঠোঁটের উপর স্ক্রাব করতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের উপর থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ঠোঁট নরম হয়ে উঠবে। পাশাপাশই ঠোঁটের কালচে দাগও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
চুলের মাস্ক: গরমে জলের সঙ্গে কফি ফোটান। মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করুন। শ্যাম্পু করার পর ওই কফির মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। চুলে ঠিক করে কফি মাখলে পাকা চুলের সমস্যা থাকবে না। পাশাপাশি চুল অনেক বেশি উজ্জ্বল এবং মসৃণ দেখাবে।
ফুট স্ক্রাব: পায়ের যত্নেও কফি কার্যকরী। রোদ, জলে পায়ের কিছু অংশ কালচে হয়ে যায়। সেই ট্যান তুলতে অনেকের কালঘাম ছোটে। কফি গুঁড়োর সঙ্গে অল্প হলুদ গুঁড়ো, টক দই ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফুট স্ক্রাব বানাতে পারেন। তারপর এই ফুট স্ক্রাব পায়ের উপর ঘষুন। ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই নরম লাগবে পা, সেইসঙ্গে কালো দাগছোপ উঠে যাবে।