
চাপ দাড়ি অনেকের পছন্দের। কিন্তু চাইলেই সকলের চাপ দাড়ি তো আর হয় না। আর তা না হওয়ার পিছনে নানা কারণ রয়েছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গ বিশেষে দাড়ি বড় বা ঘন না হওয়ার সমস্যা মূলত যে কারও জেনেটিক (বংশগত কারণ) এবং শরীরের হরমোনের মাত্রা (বিশেষত টেস্টোস্টেরন এবং ডিএইচটি) উপর নির্ভর করে। তবে, বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে এবং জীবনযাত্রার মানে পরিবর্তন করলে নতুন দাড়ি ঠিকঠাক গজাবে। নিম্নে জেনে নিন বিস্তারিত।
১. পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে। যা দাড়ির গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস বের করে দাড়ির গোড়ায় নিয়মিত হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
২. নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল: এই তেলগুলি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রোমকূপের মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, যা দাড়ির স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক। প্রতিদিন রাতে বা দিনে একবার হালকা গরম নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
৩. আমলা তেল: আমলকিতে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমলা তেল দিয়ে মুখে এবং দাড়ির গোড়ায় ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন।
৪. ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার/ক্রিম: অনেকের মতে, ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে দাড়ি দ্রুত গজায় এবং ঘনত্ব বাড়ে।
দিনে দু’বার শুকনো হাতে বা তেল দিয়ে মুখে আলতো করে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা দাড়ির ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করে।
সপ্তাহে একবার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করে মুখের ত্বকের মৃত কোষ দূর করুন। এতে রোমকূপের মুখ খুলে যায় এবং নতুন দাড়ি গজানো সহজ হয়।
দাড়ির বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন (যেমন: মাছ, ডিম, ডাল) এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (বিশেষত বায়োটিন) ও ভিটামিন সি, ই সমৃদ্ধ খাবার খান।
প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি, কারণ ঘুমের সময় শরীরে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে।
দিনে ২-৩ বার উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক পরিষ্কার থাকে এবং নতুন দাড়ি গজানোর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।
দাড়ি না বাড়া বা ঘন না হওয়া একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া এবং এর জন্য ধৈর্য প্রয়োজন। উপরোক্ত প্রাকৃতিক উপায়গুলি কার্যকরী হলেও, এটি আপনার বংশগতির (জেনেটিক্স) উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। যদি দীর্ঘ সময় ধরে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য না করেন, তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।