
চটজলদি অনেকে ওজন কমাতে চান। এমনটা মোটেও ভাল নয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তাড়াহুড়ো করে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে গিয়ে শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এই ব্যালেন্স ডায়েট করার সময় এর মধ্যে সঠিক খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই তাজা সবজি ও ফলের সঙ্গে মাছ এবং মাংস রাখতে হবে। অনেকেই জানেন ড্রাই ফ্রুটসও ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেটির সঙ্গে যদি রাখেন বীজ, আরও ভাল ফল পাবেন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সুপারফুডের মধ্যে চিয়া সিড (Chia Seeds) এবং ফ্ল্যাক্স সিড (Flax Seeds) দুটি খুবই জনপ্রিয়। এদের মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকরী, চলুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ
এর মধ্যে উচ্চমাত্রার ফাইবার (প্রতি ২৮ গ্রামে প্রায় ১১ গ্রাম) রয়েছে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।
ফ্ল্যাক্স সিডের পুষ্টিগুণ
ফাইবারের ভাল উৎস (প্রতি ২৮ গ্রামে প্রায় ৮ গ্রাম)। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, বিশেষ করে ALA (Alpha-Linolenic Acid)। লিগন্যান (Lignan) নামে এক ধরনের উদ্ভিজ্জ যৌগ থাকে, যা হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে। প্রোটিনের ভাল উৎস।
চিয়া সিড কীভাবে কাজ করে?
জলের সঙ্গে মিশে জেল তৈরি করে, যার ফলে পেট ভরা অনুভূতি দেয়। উচ্চ ফাইবার হজমের গতি কমিয়ে খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে সুগারের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
ফ্ল্যাক্স সিড কীভাবে কাজ করে?
দ্রবণীয় ফাইবার হজমের প্রক্রিয়া ধীর করে খিদে বোধ কমায়। ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়ক। লিগন্যান হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে, যা বিশেষ করে নারীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
চিয়া সিড বেশি ফাইবার ও জল শোষণ ক্ষমতার কারণে দীর্ঘ সময় পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, তাই ওজন কমাতে কার্যকর। অন্যদিকে ফ্ল্যাক্স সিড হরমোন ব্যালান্স, ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী এবং প্রোটিনের উৎস হিসেবে ভাল। দু’টোর পুষ্টিগুণ আলাদা, তাই সর্বোত্তম ফল পেতে দু’টিকেই খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তবে ওজন কমানোর জন্য শুধুমাত্র চিয়া সিড বা ফ্ল্যাক্স সিড নয়, বরং সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। তবে ফাইবার ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ হওয়ায় এই দুটি বীজের নিয়মিত গ্রহণ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।