পুজোয় দশ জন বাঙালির মধ্যে পাঁচ জনের গন্তব্য থাকে দার্জিলিং। একাধিক বার গেলেও মন ভরে না। হোটেল, হোম স্টে এবং ট্রেনের বুকিং দেখে মনে হচ্ছে পুজোয় ভিড় উপচে পড়তে চলেছে শৈলশহরে। আর দার্জিলিং মানেই টয় ট্রেন। পুজোয় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে ধরে নেওয়াই হয়েছে। তাই জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর)। যাতে দার্জিলিংমুখী বাঙালির মনোরঞ্জনের অভাব না হয়। পর্যটকদের কথা ভেবেই পুজোর সময় জয়রাইড বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএইচআর।
বর্তমানে আটটি টয় ট্রেন চলে শৈলশহরে। আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে আরও চারটি জয়রাইড চালানো হবে। সবুজ চা বাগান আর দূরে বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘাকে সঙ্গে নিয়ে পাকদণ্ডী পথ ধরে টয় ট্রেনে চেপে দার্জিলিং ঘুরে দেখার মজাটাই আলাদা। সোনাদা, ঘুম পেরিয়ে দার্জিলিং পৌঁছানোর আনন্দ লুকিয়ে এই জয় রাইডে। দার্জিলিংমুখী কোনও পর্যটক যাতে এই আনন্দ মিস না করে তাই পুজো পাহাড়ে চলবে এক ডজন জয় রাইড।
তবে, পাহাড় ভ্রমণের আনন্দ শুধু জয় রাইডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পাহাড়ের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের উপর জোর দিচ্ছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। আজকাল পর্যটকেরা দার্জিলিং না গেলেও বেছে নিচ্ছেন আশেপাশের নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। গত কয়েক বছরে পর্যটকদের মধ্যে বেড়ে অফবিট লোকেশনে বেড়াতে যাওয়ার চাহিদা। তার সঙ্গে যদি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের সুযোগ থাকে, আরও উন্নত হবে পর্যটন শিল্পও।
পাহাড়ে তিস্তা নদীর উপর রাফটিং পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ১৯৯১ সালে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের তরফে তিস্তায় রাফটিং শুরু হয়। আর এখন এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এছাড়াও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্যারাগ্লাইডিং, রক ক্লাইম্বিং, মাউন্টেন বাইকিং ও ট্রেকিংয়ের সুযোগ। তেনজিং নোরগে হাইলিং ট্রেইল হল ১২ কিলোমিটার বিস্তৃত দীর্ঘ ট্রেকিং রুট। এই রুটটি গত ২৯ মে এভারেস্ট সামিট দিবসের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে পুনরায় চালু করা হয়েছে। সুতরাং, এ বছর পুজোয় দার্জিলিং বেড়াতে গেলে আপনার আনন্দ একটুও মাটি হবে না।