
দুদিনের টানা বৃষ্টিতে প্যাচেপ্যাচে গরমটা আর নেই। বরং বেশ মনোরম ওয়েদার। এই ওয়েদারে বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে চা সহযোগে আড্ডার মজাটাই আলাদা। চা কি আর টা ছাড়া জমে? বাঙালির চায়ের সঙ্গে আবার একটি ভাজাভুজি না হলে চলে না। সেটা যদি হয় শিঙাড়া তাহলে কথাই নেই। সাধারণ আলুর শিঙাড়া তো সব সময় খাওয়া হয়। তাই এবারে বরং সেখানে থাকুক একটু টুইস্ট। পাঠার মাংস দিয়ে রেঁধে ফেলুন শিঙারা। কী ভাবে? রইল রেসিপি।
উপকরণ:
ময়দা মিশ্রণ (চিপস/শেল বানানোর জন্য)
ময়দা – ২ কাপ
সাদা তেল – ২ টেবিল চামচ
লবণ – স্বাদ অনুযায়ী
পানি – পরিমাণমতো (আটা মাখার জন্য)
মাটন পুরের জন্য:
কিমা মাংস (মাটন) – ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
আদা-রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুচি – ২-৩টি
গরম মসলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
নুন – স্বাদ অনুযায়ী
তেল – ভাজার জন্য
ধনেপাতা কুচি – সামান্য
প্রণালী:
ময়দা তৈরি করা:
ময়দায় লবণ ও তেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে শক্ত করে আটা মেখে ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন।
মাটন পুর তৈরি:
একটি কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ভাজুন। এরপর মাটন কিমা দিয়ে মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন। গরম মসলা, ধনে ও জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে ধনেপাতা ছড়িয়ে নিন ও ঠান্ডা হতে দিন।
শিঙাড়া বানানো:
ময়দা থেকে ছোট লেচি কেটে রুটি বেলে নিন। রুটিকে মাঝখান থেকে কেটে দুটি অর্ধচন্দ্র বানান। একটি অর্ধচন্দ্রকে শিঙাড়ার শেল আকারে গড়ে তার ভিতরে মাটনের পুর দিন। মুখ বন্ধ করে জল দিয়ে আটকে দিন।
ভাজা:
তেল গরম করে মাঝারি আঁচে শিঙাড়াগুলো সোনালি করে ভেজে নিন। গরম গরম মাটন শিঙাড়া পরিবেশন করুন টমেটো সস বা ধনেপাতার চাটনির সঙ্গে।