
বছরের বেশিরভাগ সময়ই পাওয়া যায় সজনে ডাঁটা। কিন্তু এই শীতের মরশুমে না ভাল সজনে ডাঁটা পাবেন, না সজনে ফুল। ফুল বা ডাঁটা না পেলেও আপনাকে ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য বিকল্প উপায় খুঁজে নিতে হবে। শীতকালে রোগের হাত থেকে বাঁচতে আপনি সজনে পাতার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
সজনে গাছের ফুল, ডাঁটা থেকে শুরু করে পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আপনি যদি ওজন কমাতে চান এবং সাপ্লিমেন্টের খোঁজে থাকেন, তাহলে এই সজনে পাতা আপনার সমস্যাকে সহজ করে দিতে পারে। এমনকি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই পাতা। ওজন কমানো ছাড়াও এই শীতে সজনে পাতা খেলে একাধিক উপকারিতা মিলবে।
পুষ্টির ভাণ্ডার: সজনে পাতা পুষ্টিতে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, সি এবং ই, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে সজনে পাতায়।
ওজন কমায়: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সজনে পাতা মেটাবলিক রেট বাড়ায়, যা ওজনকে বশে রাখার জন্য জরুরি। মেটাবলিক রেট বেশি হলে শরীর ক্যালোরি পোড়াতে সক্ষম হয়। এছাড়া সজনে পাতায় ফাইবার রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া থেকে আপনাকে দূরে রাখে। আপনার হজমের প্রক্রিয়া ভাল থাকলে ওজন কমানো সহজ হয় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
সুগারকে বশে রাখে: আজকাল ডায়াবেটিসের সমস্যা ঘরে-ঘরে। সজনে পাতা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এই পাতা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বশে থাকলে আপনার ওজনও বাড়বে না।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরলেও ভুগছে বাঙালির একাংশ। রান্নায় তেল ব্যবহারের পরিমাণ কমালেই কোলেস্টেরল বশে আসবে না। তার সঙ্গে সজনে পাতা খেতে হবে। সজনে পাতা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে ওজন কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
যে উপায়ে সজনে পাতা খাবেন-
অল্প তেলে সজনে পাতা ভেজে ভাত দিয়ে খেতে পারেন। এতে স্বাদের জন্য গোটা সর্ষে, কাঁচা লঙ্কা ও নারকেল কোড়া ফোড়ন দিতে পারেন। এছাড়াও সজনে পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।