
ত্বক ধীরে ধীরে নির্জীব, রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ার নেপথ্যে রয়েছে দূষণ, অনিয়মিত জীবনযাপন, জল কম খাওয়া, ভুল স্কিনকেয়ার বা ঘুমের অভাবের মতো একাধিক কারণ। তাই উজ্জ্বল ত্বক ফিঢ়ে পেতে গেলে রাতে ঘুমোনোর আগে প্রয়োজন কিছু অতিরিক্ত যত্নের।
ঘুমোতে যাওয়ার আগেই কেন? আসলে রাতের বেলা যখন আমরা ঘুমোই সেই সময় ত্বক সবচেয়ে দ্রুত ক্ষত থেকে সেরে ওঠে, ত্বকের কোষ পুনরুজ্জীবিত হয়। তাই হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে হলে রাতে চাই স্পেশাল ত্বকের যত্ন। কী করবেন?
১. মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করা (Cleansing) – দিনভর ধুলো, ঘাম, তেল আর মেকআপ ত্বকে জমে থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার না করলে সেগুলো রোমছিদ্র আটকে দেয়, যার ফলে দেখা দেয় ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও অন্যান্য সমস্যা। তাই ত্বকের শ্বাস নেওয়া সহজ হয়। তেল ও ধুলাবালি দূর হয়। রাতে ক্রিম বা সিরাম ত্বকে ভালভাবে কাজ করতে পারে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফোমিং ক্লিনজার, জেল বা মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। বরফ জল বা হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
২. টোনার ব্যবহার করা – ক্লিনজিংয়ের পর ত্বকের pH ব্যালান্স নষ্ট হয়ে যায়। একটি ভাল টোনার তা আবার ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তী স্কিনকেয়ার উপাদান শোষণে সাহায্য করে। এটি রোমছিদ্র ছোট করে। ত্বক টানটান এবং হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
অ্যালকোহল-মুক্ত টোনার ব্যবহার করুন। গোলাপজল বা ভিটামিন সি টোনারও ভাল বিকল্প হতে পারে।
৩. সিরাম বা ফেস অয়েল – সিরামে থাকা সক্রিয় উপাদান (যেমন হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি, রেটিনল ইত্যাদি) ত্বকের গভীরে কাজ করে। এগুলো রাতে ব্যবহার করলেই সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়।
এটি ত্বককে রিপেয়ার ও পুনর্জীবিত করে তুলতে সাহায় করে। ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে তোলে এবং দাগছোপ কমায়। বয়সের ছাপ পড়া থেকেও রোধ করে। আপনার ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী সিরাম বেছে নিন।
৪. নাইট ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার – রাতে ত্বক সবচেয়ে বেশি ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। তাই ত্বকে ময়শ্চারাইজার না লাগালে তা রুক্ষ হয়ে যায়। যা ত্বকের নির্জীবিতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে, কোমলতা ফিরিয়ে আনতে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ রোধ করতে কার্যকরী নাইট ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার। মনে রাখবেন, শুষ্ক ত্বকে হেভি ক্রিম, তৈলাক্ত ত্বকে হালকা জেল বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ঠোঁট ও চোখের যত্ন নিন – চোখ ও ঠোঁটের চারপাশের ত্বক অত্যন্ত পাতলা এবং সংবেদনশীল। তাই এই দুই অংশের আলাদা যত্ন প্রয়োজন। চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলাভাব কমাতে, ঠোঁট ফাটা ও রুক্ষভাব দূর করতে, বয়সের ছাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই অঙ্গের যত্ন।
প্রয়োজনে চোখের চারপাশে আই ক্রিম বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁটে ভ্যাসলিন বা লিপ বাম মাখতে পারেন।