
শীত এবার বেশ খানিকটা ধোঁকা দিয়েছে। পৌষ শেষ হতে চলল অথচ তেমন শীতের বালাই নেই। আপাতত সকলে তাই মাঘের প্রতীক্ষায়। এবার অধিকাংশ বাড়িতেই আলাদা করে লোটা-কম্বল নামাতে হয়নি। পাতলা কম্বলেই কাজ চলে যাচ্ছে। তবে সোয়েটার চাদর নেমেছে আলমারি থেকে। শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে চাদর জড়িয়ে বসে থাকতে বেশ লাগে। আর এই প্রতিটি শাল, চাদরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একটা গল্প। আর এই শাল প্রজন্মের পর প্রজন্ম থেকে যায় আলমারিতে। মা, দিদুদের শাল গায়ে দিতে বেশ লাগে, কারণ তার সঙ্গে জড়িয়ে রাখে অন্যরকম নস্ট্যালজিয়া। পশমিনা শাল প্রায় সকলের কালেকশনেই থাকে। তবে এই পশমিনা শাল প্রতিবার ধোওয়ার পর পাতলা হয়ে যায়। আর তাই এই শালের ঠিকমত যত্ন নিতে হবে।
পশমিনা ধোয়া যায়। কিন্তু শুধু ধুলেই হবে না। তার যথাযথ যত্ন নিতে হবে। কারণ দিনের পর দিন এই শাল আপনার সঙ্গী। ধরা যাক শাল ধুয়ে কাগজে মুড়ে আপনি তা ওয়ার্ড্রোবে রেখে দিয়েছেন। এতেও কিন্তু ধুলো পড়তে পারে। খুব সূক্ষ্ম কণা এই শালের মধ্যে আটকে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পশমিনা বাড়িতে হাতে ধুয়ে নিলে সবচাইতে ভাল। ওয়াশিং মেশিনে যদি হ্যান্ড ওয়াশ সেটিং না থাকে তাহলে পশমিনা দেবেন না। হালকা গরম জলে লিক্যুইড সোপ বা বেবি শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এই শাল। ধোওয়ার সময় আরও একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। ফ্র্যাব্রিক হাতে দিয়ে ঘষবেন না। বা অভ্যাসমতো মোচড় দিয়ে কাচবেন না। পশমিনার স্কার্ফও একই ভাবে কাচতে হবে। সাবানে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। হাতে ভাল করে ধুয়ে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন আরও ১০ মিনিট। এবার হাতে চিপে জল বের করে রোদে শুকোতে দিন।
কাশ্মীরি শাল কখনও অভ্যাসবশত তারে ঝুলিয়ে শুকোতে দেবেন না। সব সময় ফ্ল্যাট কোথাও মেলে শুকিয়ে নিনন। মেঝেতে লম্বা করে দিয়ে শুকিয়ে নিতে পারলে সবচাইতে ভাল। সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। যেদিকে ছায়া রয়েছে সেইদিকে দিন। এছাড়াও খেয়াল রাখবেন যেন শুকোতে দেওয়ার সময় কোনও রকম জল না লাগে এই দিকেও খেয়াল রাখবেন। দাম দিয়ে পশমিনা কিনে ফেললেই হবে না এই শালের যত্নও ঠিক করে নিতে হবে। ঠিকভাবে না রাখলে পশমিনায় সংক্রমণ হতে পারে। আর তাই সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।