
তীব্র গরমের পর বর্ষা আসলে প্রকৃতি খুশি হয়, বৃষ্টির জলে প্রকৃতি আরও অনেক বেশি সবুজ হয়ে ওঠে। বর্ষায় প্রকৃতি, ঝর্না এই সব কিছুরই অন্য একটা রূপ থাকে। বর্ষায় ড্যামেজের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আর তাই বর্ষায় বাড়ি থেকে শুরু করে পোশাক সব কিছুরই যত্ন নিতে হয়। নইলে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতে পোশাক নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে যতই ছাতা থাকুক না কেন বর্ষায় বাড়ির বাইরে বেরোলে অনেক সময়ই ভিজে যেতে হয়। অতি বৃষ্টি ছাতাও আটকাতে পারে না। তখন মাথা কোনও ক্রমে বাঁচানো গেলেও পরনের পোশাক ভিজে থাকে। ভিজে জামা শুকোতে বেশ সময় লাগে। আর একটা গুমোট গন্ধ থেকে যায়। এই গন্ধ দূর করতে বেশ বেগ পেতে হয়। আর ভেজা পোশাক দুদিন থেকে গেলে ছত্রাকের সমস্যাও হতে পারে।
তাই বর্ষায় কিছু নিয়ম মানতেই হবে। নইলে শখে শাড়ি, দামি গাউন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে বর্ষায় শাড়ি পরবেন না। এর সহজে পরা পোশাক কাচবেন না। কাদা হলে কাটতেই হবে। চেষ্টা করবেন এই সময় ধোওয়া, কাচা এড়িয়ে যেতে। আর বর্ষায় জলে ডিটারজেন্ট দিয়ে শাড়ি ধোবেন না। প্রয়োজনে ড্রাই ওয়াশে দিতে পারেন।
দামি যে কোনও সিল্ক সব সময় একটা পাকলা কাপড়ে মুড়িয়ে রাখতে বলা হয়। প্রয়োজনে সাদা ধুতি দিয়ে কাপড় মুড়ে নিতে পারেন। এতে বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থেকে শাড়ি রক্ষা করতে পারবেন। প্রয়োজনে সুতির কাপড় আয়রন করে নিতে পারেন। এতে কাপড় ভাল থাকে। আর যদি বর্ষায় বেনারসি বা দামি সিল্ক পরতে চান তাহলে বেনারসির উপর একটা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে তার উপর আয়রন চালান। যদি পোশাকে কোনও খাবার পড়ে যায় তাহলে সেই জায়গায় সাবান না দিয়ে একটা তুলোয় নেলপলিশ রিমুভার দিয়ে ঘষে নিন। এতে তেল-ময়লা উঠে আসবে।
বাইরের শাড়ি সরাসরি আলমারিতে না তুলে প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ খোলা হাওয়াতে রাখুন। এরপর তা আলমারিতে তুলুন। এভাবে রাখলে শাড়ি ভাল থাকবে আর দাগছোপও পড়বে না।