
আজকাল সব মেয়েই তাঁর নিজের বডিশেপ নিয়ে চিন্তিত। ঢাকাঢুকি দিয়ে পোশাক পরার পরিবর্তে খোলাখুলি জামাতেই তারা বেশি স্বচ্ছন্দ্য়। পোশাকের ফাঁক দিয়ে বক্ষ বিভাজিকা উঁকি মারলে যে দেখতে বেশ ভাল লাগে একথার মর্ম বেশ বুঝতে পেরেছেন এখনকার মেয়েরা। পুশ আপ কিংবা প্যাডেড ব্রা পরলে বুকের শেপ যত সুন্দর লাগে তা অন্য ব্রা-তে লাগে না। এছাড়াও এখনকার মেয়েরা ওয়েস্টার্ন পোশাকই বেশি পরেন। সেই সঙ্গে জিন্স, কুর্তি এসব তো আছেই। এমনকী শাড়ির সঙ্গে পরার জন্যও আজকাল আলাদা শাড়ি ব্রা পাওয়া যায় বাজারে। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান থাকলে তো তখন ধরাবাঁধা এই পুশ আপ ব্রা। মাঝেমধ্যে প্রয়োজনে অবশ্যই পরতে পারেন এই প্যাডেড আর পুশ আপ ব্রা। তাতে বিশেষ ক্ষতি নেই। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যবহার করলে তখনই সমস্যা।
স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে– প্যাডেড ব্রা এমন ভাবেই তৈরি করা হয় যাতে জোর করে চেপে স্তনের আকৃতি সংকুচিত করে দেওয়া হয়। এতে স্তনের সূক্ষ্ম টিস্যুগুলিতে ক্রমাগত চাপ পড়ে। স্তনের রক্তজালিকাগুলি দীর্ঘক্ষণ সংকুচিত হয়ে থাকে। ফলে দীর্ঘক্ষণ ব্রা পরে থাকার পর খুলে দিলে ত্বকে লাল লাল চাকা চাকা দাগ দেখা যায়। বেশিক্ষণ চাপা থাকার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে টক্সিন তৈরি হয়। সেখান থেকেও চাপ পড়ে স্তনের উপরে। স্তন সঠিক পরিমাণে পুষ্টিও পায় না এতে। এখান থেকেই একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।
স্তনে পিণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে- এভাবে সারাদিন চেপেচুপে ব্রা পরে থাকলে স্তনে লাম্ফ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এই ব্রা নিয়মিত পরলে তরল এক জায়গায় জমা হয়ে যায়। সেখান থেকে লাম্ফের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে সারাদিন ইচিং ভাব লেগেই থাকে।
নিয়মিত ভাবে প্যাডেড ব্রা পরলে শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের পরিমাণ কমে যায়। এই হরমোন ঠিকমতো উৎপন্ন না হলে তখন ঘুম ঠিকভাবে হয় না। এই ভাবে চেপে দীর্ঘক্ষণ চেপে বসে থাকে বলেই এই সমস্যা হয়।
প্যাডেড ব্রা দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে স্তনের টিস্যুর উপর চাপ পড়ে। তখন তা মূল টিস্যু থেকে আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যাও আসে। সাময়িক ভাবে আকৃতি ভাল লাগলেও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে শরীরের ক্ষতি হয়।